বিপত্তি: নাটমন্দিরের ভেঙে পড়া অংশ দেখাচ্ছেন এক কর্মী। বৃহস্পতিবার, বড়বাজারে। নিজস্ব চিত্র
রোজকার মতোই রাতে নাটমন্দিরে শুয়েছিলেন প্রৌঢ়। ভোরে আচমকা উপর থেকে ভারী কিছু ভেঙে পড়ার শব্দে অন্যদের ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরা ছুটে এসে দেখেন,
কংক্রিটের চাঙড় ভেঙে পড়েছে ওই প্রৌঢ়ের উপরে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তাঁর মুখ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজার থানা এলাকার একটি মন্দিরে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতের নাম দুর্গাচরণ বারিক (৫৬)। পুলিশ জানায়, ওড়িশার বাসিন্দা দুর্গাচরণ বড়বাজার
এলাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। প্রতি রাতে কাজ সেরে রূপচাঁদ রায় স্ট্রিটে মদনমোহন মন্দিরের নাটমন্দিরে ঘুমোতেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে শুতেন মন্দিরের অন্য কর্মীরা। এক কর্মী অরুণ চক্রবর্তী জানান, তিনি দুর্গাচরণের পাশেই শুয়েছিলেন। ভোর ৫টা নাগাদ আচমকা পাথরের একটি টুকরো তাঁর পিঠে পড়তে তিনি লাফিয়ে সরে যান। অরুণ বলেন, ‘‘দেখি, দুর্গাচরণের সারা মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তখনই চিৎকার করে সকলকে ডাকি। আমার পিঠে ও মুখে সামান্য চোট লেগেছে।’’
মন্দির সাফাইয়ের কাজে যুক্ত আর এক যুবক রবীন্দ্র বেহেরা জানান, দুর্গাচরণের গাল ফুটো হয়ে পাথর ঢুকে গিয়েছিল। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, কংক্রিটের চাঙড় খসে পড়ে ওই প্রৌঢ়ের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছিল। তবে মন্দির ও নাটমন্দিরের কোথাও ভাঙাচোরার চিহ্নমাত্র নেই। তা সত্ত্বেও কী ভাবে চাঙড় ভেঙে পড়ল, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।