বেলুড় জিআরপি থানার ওসিকে সরিয়ে দিল রাজ্য রেল পুলিশ। ফাইল ছবি।
বাহিনীর এক অফিসারের মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল ট্রেনে। তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন বেলুড় জিআরপি থানায়। তা সত্ত্বেও জিআরপি থানা মামলা রুজু করেনি বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে বেলুড় জিআরপি থানার ওসিকে সরিয়ে দিল রাজ্য রেল পুলিশ। চলতি সপ্তাহেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল পুলিশের কর্তারা। সেই সঙ্গে ওই ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত মাসে। রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এক জন সাব-ইনস্পেক্টর ট্রেনে চেপে হাওড়ায় যাচ্ছিলেন। বালি স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাঁর চিৎকার শুনে আরপিএফ কর্মীরা এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। এলাকাটি বেলুড় জিআরপি থানার অধীনস্থ হওয়ায় আটক যুবককে রেল পুলিশের সেই থানাতেই নিয়ে যান ওই অফিসার এবং অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে রেল পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, পরে ওই অফিসার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বেলুড় জিআরপি তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও মামলাই রুজু করেনি। তাই তিনি রাজ্য রেল পুলিশের ডিজি-র কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর, রেল পুলিশের শীর্ষ কর্তারা গোটা ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তাতে জিআরপি থানার তৎকালীন ওসির বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগের সত্যতা মেলে। এর পরেই কয়েক দিন আগে তাঁকে বেলুড় জিআরপি-র ওসি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে লাইনে ক্লোজ়ও করা হয়।
রেল পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে কোনও ভাবেই তা প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।