বাবলু ঘোষ (নান্টি) ও শেখ আবুল হোসেন (বিলাল)
অস্ত্র পাচার থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হরিদেবপুর এবং বন্দর সংলগ্ন এলাকায় রীতিমতো ত্রাস ছিল বাবলু ঘোষ ওরফে নান্টি। অবশেষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাগনান থেকে গ্রেফতার করল নান্টি ও তার এক শাগরেদ শেখ আবুল হোসেন ওরফে বিলালকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ অক্টোবর উত্তর বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই সামনে আসে নান্টি ও তার দলবলের নাম। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ হাওড়ার বাগনান এলাকায় অভিযান চালান লালবাজারের গোয়েন্দারা। সেখানেই ধরা পড়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতী নান্টি ও তার সঙ্গী বিলাল।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নান্টির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে এবং বিলালের বাড়ি হাওড়ার বাগনান এলাকায়। সোমবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিদেবপুর ও বন্দর এলাকায় রীতিমতো ত্রাস ছিল বাবলু ওরফে নান্টি। ২০১৫ সালে হরিদেবপুর এলাকার একটি পানশালার সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় সামনে আসে তার নাম। ওই ঘটনায় এক জনের মৃত্যুও হয়। পুলিশ তখন গ্রেফতার করেছিল নান্টিকে। পরবর্তীকালে জামিন পেয়ে বাইরে আসে সে। তার পরেও ফের একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে ওই দুষ্কৃতী ও তার দলবল। এমনকি, ভিন্ রাজ্য থেকে অস্ত্র পাচারের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে নান্টির। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে দলের বাকিদের সন্ধান পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।