প্রতীকী ছবি।
পুলিশের দাবি, ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে অস্ত্র উদ্ধারের মামলা বেড়েছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। বছর শেষের মুখে পুলিশের সেই দাবি আবার উস্কে দিয়েছে নতুন জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, অস্ত্র আইনে বেশি ধরপাকড়ের অর্থ বেশি সংখ্যায় দুষ্কৃতীরা অস্ত্র-সহ কমিশনারেট এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
গত এপ্রিলেই রাজারহাটে অস্ত্র কারখানার হদিস মিলেছিল। ছোটখাটো দুষ্কৃতীর থেকে চপার, ভোজালির পাশাপাশি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে নাইন এমএম পিস্তল। দেশি ওয়ান শটার তো রয়েছেই।
পুলিশের হিসেবে, ২০১৮ সালে নয়টি ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। ২০১৯ সালে ৩৩টি ক্ষেত্রে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছিল। চলতি বছরে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। তার মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সিন্ডিকেট নিয়ে সংঘর্ষও। সে সব ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পুলিশ মামলা রুজু করেছে এবং অস্ত্র উদ্ধারও করেছে। যদিও প্রশাসনের দাবি, বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট মজবুত করা হয়েছে। আগে ১৩টি থানা ছিল। চলতি বছরে পাঁচ নম্বর সেক্টরে আরও দু’টি থানা বেড়েছে। পুলিশের একাংশের মতে, অভিযান করে ডাকাতি-চুরি করতে আসা বহিরাগত দুষ্কৃতীদের ধরা হয়েছে। তাঁদের থেকেও ভাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিধাননগরে এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলেছে। সামনের বছরে এখানে পুরভোট হওয়ার কথা। ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশও। সে ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা চেষ্টা করবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কমিশনারেট এলাকায় পা রাখতে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পুলিশকে এখন থেকেই সে সব নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।