অভিযান: চলছে এনএসজি-র মহড়া। রবিবার রাতে, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
মুম্বইয়ের ২৬/১১-র মতো সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা কলকাতার মেট্রোয় কখনও ঘটলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করা হবে? মাটির নীচে মেট্রোর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ট্রেন থেকে কী ভাবে উদ্ধার করা উচিত যাত্রীদের?
রবিবার গভীর রাতে এনএসজি (ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড)-র কম্যান্ডোরা তারই মহড়া দিলেন মেট্রোর সেন্ট্রাল স্টেশনে। সেই মহড়ায় তাঁদের সাহায্য করলেন কলকাতা পুলিশ ও মেট্রোর আরপিএফের আধিকারিকেরা।
রাত ১১টা থেকে শুরু হয়ে মহড়া চলে প্রায় আড়াইটে পর্যন্ত। সেখানে দেখা যায়, একটি চলন্ত নন-এসি রেক আচমকা সন্ত্রাসবাদী হামলার মুখে পড়ে। ট্রেনটি সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছলে এনএসজি কম্যান্ডোরা তাঁদের অভিযান শুরু করেন। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও প্রবেশপথ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দখল নিয়ে নেন তাঁরা। চলন্ত ট্রেনে জঙ্গি হানার মতো ঘটনা ঘটলে কী ভাবে মাঝপথে সেই ট্রেন থামিয়ে এ ধরনের ‘অপারেশন’ চালাতে হবে, ওই রাতে তারই মহড়া দেওয়া হয় বলে মেট্রো এবং পুলিশ সূত্রের খবর।
বাস্তবে এমন কিছু ঘটলে সেই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কত কম সময়ের মধ্যে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে, প্রধানত সেটাই দেখা হয়। অভিযান-পর্বে স্টেশনের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে কতটা সময় লাগছে, কোথায়, কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, সব কিছুই খতিয়ে দেখেন এনএসজি কম্যান্ডোরা। এনএসজি এবং কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে মোট ১১২ জন মহড়ায় অংশ নেন। একটি নন-এসি রেক নিয়ে সেই মহড়া চলে। পুলিশ এবং মেট্রোর তরফে অবশ্য ঘটনাটিকে ‘রুটিন’ মহড়া বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে চাঁদনি চক বা এসপ্লানেডের মতো বিভিন্ন স্টেশনে এনএসজি মহড়া দিয়েছে বলে খবর। অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যাত্রীদের কী ভাবে উদ্ধার করতে হবে, তা শেখাতে এর আগে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মেট্রোয় মহড়া দিয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রে মহড়ার প্রস্তুতি অনেকটাই আলাদা বলে মেট্রো সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জঙ্গি হানার মতো আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে কত কম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা যাবে, এ দিন তারই মহড়া হয়েছে।’’