—ফাইল চিত্র।
আট মাসের শিশুর শ্বাসনালিতে আটকে থাকা কাজলের কৌটো বার না করেই ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পরে ওই শিশুটির মৃত্যু হয় এসএসকেএমে। ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের গাফিলতি রয়েছে বলেই মত এন আর এসের তিন সদস্যের তদন্ত-কমিটির। সূত্রের খবর, তাঁদের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। এমনকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফে।
গত ৪ মার্চ সকালে রীতেশ বারুই নামে ওই শিশুটিকে এন আর এস নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনেরা। কিন্তু অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে শিশু শল্য ও নাক-কান-গলা বিভাগে ঘোরানো হলেও ওই কৌটোটি বার করার ন্যূনতম চেষ্টাও হয়নি। সূত্রের খবর, ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকেরা দাবি করেছিলেন, ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে তাঁরা কিছু দেখতে পাননি। তাই ব্রঙ্কোস্কোপি করতে হবে ভেবে শিশুটিকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করেছিলেন।
যত ক্ষণে রীতেশকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তত ক্ষণে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে তার পুরো শরীর নীল হয়ে গিয়েছিল। এ দিকে, ল্যারিঙ্গোস্কোপি করেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কৌটোটি বার করে পিজি। তার পরে শিশুটিকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। তবে মৌখিক ভাবে বললেও ল্যারিঙ্গোস্কোপি করার লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে পারেননি এন আর এসের ওই চিকিৎসকেরা।