প্রতীকী ছবি
পর্যটনের বিকাশে এ বার জলপথকে হাতিয়ার করতে চায় রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যেই কাশ্মীর ও কেরলের মতো কলকাতার গঙ্গাবক্ষেও ভাসানো হল ‘গঙ্গাশ্রী’ ও ‘জলশ্রী’ নামের দু’টি হাউসবোট। শুক্রবার তারকেশ্বর থেকে রিমোট কন্ট্রোলে সেগুলির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতি বছর কয়েক লক্ষ বিদেশি পর্যটক এ রাজ্যে আসেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলেও গঙ্গার প্রতি তাঁদের তেমন আকর্ষণ দেখা যেত না। পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, বাংলার নদ-নদীর প্রতি বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতেই কলকাতা-সহ রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায় হাউসবোট চালু হচ্ছে। গঙ্গায় ভেসে থাকা ৪০ আসনের ওই দু’টি প্রমোদতরী কমপক্ষে তিন ঘণ্টার জন্য দলগত ভাবে ভাড়া নিতে পারবেন পর্যটকেরা। পরের পর্যায়ে রেস্তরাঁ ধাঁচের দু’টি হাউসবোটও গঙ্গায় ভাসানোর পরিকল্পনা রয়েছে পর্যটন দফতরের।
কাশ্মীরের ডাল লেক বা কেরলের আলেপ্পির মতো পুরুলিয়ার মুকুটমণিপুরের হাউসবোটে অবশ্য রাত কাটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাহাড় ঘেরা পরিবেশে কংসাবতী ও কুমারী নদীর সংযোগস্থলে বাঁধ সংলগ্ন জলাধারে ভাসবে ‘মুকুটিয়া’ নামের দু’টি প্রমোদতরী। তারও দরপত্র ডাকা হয়েছে। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছানুসারে পাহাড় থেকে সমুদ্র— রাজ্য জুড়ে পর্যটনের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তারই একটা অঙ্গ এই হাউসবোট।’’