—প্রতীকী ছবি।
এক লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে উত্তর দমদম পুরসভা। সেই উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার প্রতিটি ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিদের দেওয়া হল গাছের চারা। পুরসভা জানিয়েছে, ফল ও ফুল গাছের চারা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তবে যত্রতত্র নয়, পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন জায়গায় গাছের চারা রোপণ করা হবে। চারাগাছ যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য দেওয়া হচ্ছে বেষ্টনীও।
এলাকাবাসীদের অনেকেরই বক্তব্য, সবুজায়নের প্রয়োজনকে অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। তবে গাছ লাগালেই হবে না, সেই গাছ বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও নিতে হবে পুরসভাকে। নইলে আখেরে লাভ কিছু হবে না। উত্তর দমদম পুর এলাকায় সেই তৎপরতার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
উত্তর দমদমে নগরায়ণের জেরে গাছপালা কমে যাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একের পর এক বহুতল গজিয়ে ওঠায় কোপ পড়েছে প্রকৃতির উপরে। সেই কারণেই গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে পুরসভা। স্থানীয় বাসিন্দা তপতী ঘোষ বললেন, ‘‘এখনও যেটুকু সবুজ বেঁচে আছে, তা রক্ষা করা জরুরি। পুরনো গাছ চিহ্নিত করে সেগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে তৎপরতা দেখা যায় না। তার উপরে ডালপালা ছাঁটার নাম করে বড় বড় ডাল কেটে ফেলা হয়। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে সবুজ রক্ষা করা যাবে না। পুরসভা সে দিকেও গুরুত্ব দিক।’’ বাসিন্দাদের অনেকের বক্তব্য, পুর এলাকায় একাধিক জলাশয়, ফাঁকা জায়গা রয়েছে। স্রেফ গাছের চারা বসিয়ে দেওয়া নয়, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকল্পনা মাফিক বনসৃজন করা হোক।
অভিযোগ পুরোপুরি না মানলেও পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, সবুজ রক্ষার দিকে নজর রাখা হয়। পুরনো গাছ চিহ্নিতকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পরিকল্পনা, পর্যালোচনা চলছে। চারাগাছ রক্ষায় বেষ্টনী দেওয়া হচ্ছে। পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, পুর এলাকায় এক লক্ষ গাছের চারা বসানোর পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনেই তা করা হবে। সবুজ রক্ষার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ করবে পুরসভা।