মেট্রোর সুড়ঙ্গ কাটার জন্য বৌবাজারে ব্যাপক ক্ষতি। —ফাইল চিত্র
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) বাঁকের মুখ থেকে সরানো হলে ক্ষয়ক্ষতি হবে না বলে আদালতে জানাল বিশেষজ্ঞ কমিটি। বৌবাজারে মেট্রোর সুড়ঙ্গে ধস নামার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থে যে মামলা হয়েছে, শুক্রবার তার শুনানিতে একটি রিপোর্ট পেশ করে ওই কথা জানিয়েছে কমিটি। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার আদালত মেশিন সরানোর ব্যাপারে তার মতামত জানাবে।
নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটে সুড়ঙ্গের বাঁকে আটকে থাকা ২ নম্বর টানেল বোরিং যন্ত্রটি পাঁচ মিটার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতি চেয়েছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গত ৮ নভেম্বরের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল, ওই যন্ত্র সরানো হলে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানাতে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, আদালতে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বোরিং মেশিন সরানোর তদারকি করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। যে সংস্থা যন্ত্রটি তৈরি করেছে, তার কর্মীরাই সেটি পাঁচ মিটার এগিয়ে দেবেন। সুড়ঙ্গের ভিতর চক্রাকারে মাটি কাটতে কাটতে মেশিন এগিয়ে যাবে। তার জেরে প্রাণহানি বা ধস নামার আশঙ্কা নেই।
সূত্রের খবর, ধস নামার জেরে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে সুড়ঙ্গের নীচে ২ নম্বর টানেল বোরিং মেশিনটিকে থামিয়ে রাখা হয়েছে। ওই বিপর্যয়ের পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থে মামলা করে অভিযোগ তোলে, সব দিক খতিয়ে না দেখে তড়িঘড়ি কাজ এগোতে গিয়ে মানুষকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে কলকাতা মেট্রে রেল কর্পোরেশন। অভিযোগ পেয়ে ডিভিশন বেঞ্চ মেট্রো কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া কাজ শুরু করা যাবে না। এ দিন শুনানিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, দামি ওই যন্ত্রটি বাঁকের মুখে আটকে রয়েছে। সেটি সেখান থেকে না সরালে অকেজো হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।