ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র
দশ বছরেও নিকাশির সংযোগ পাননি। শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এমনই অভিযোগ জানালেন দু’নম্বর ওয়ার্ডের সমর সরণির বাসিন্দা প্রবীর রায়চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘১০-১১ বছর আগে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তার নীচে নিকাশির কাজ হয়েছে। কিন্তু বাড়ি বাড়ি নিকাশির পাইপের সঙ্গে তার যোগ গত ১০ বছরেরও হল না।’’ অভিযোগ শুনে তাজ্জব মেয়র। অফিসারদের কাছে জানতে চান, কেন এমন হল? পরে অভিযোগকারীকে বলেন, ‘‘আরও একটু সময় দিন। সংযোগ করে দেওয়া হবে।’’
মধ্য কলকাতায় যোগাযোগ ভবনের পাশের গলিতে লাইন দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় সেখানে অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে পারছে না। এ দিন এমনই অভিযোগ জানালেন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। মাস খানেক আগেও একই অভিযোগ এসেছিল সেখান থেকে। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। তা শুনেই ক্ষুব্ধ হন মেয়র।
তারই মধ্যে দফতরের এক অফিসার মেয়রকে জানান, ওই জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল। গাড়ি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফের আবার গাড়ি দাঁড়াচ্ছে। এর পরেই মেয়র বলেন, ‘‘পার্কিং নিয়ে যে হারে অভিযোগ বাড়ছে, তাতে আরও কড়া হতে হবে। যা অবস্থা দেখছি, তাতে পুলিশও কিছু করছে না। পুরসভাও কিছু করছে না। এ সব কিন্তু চলবে না।’’ পরে ওই দফতরের চিফ ম্যানেজারকে প্রতিদিন অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। কোন কোন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে তা মেয়রের অফিসে জানাতেও বলেন তাঁকে।
বাইপাসের ধারে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার অভিযোগ ছিল, পুরসভার তৈরি ফুটপাত দখল করে জিনিসপত্র রাখা হচ্ছে। ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে ঝুঁকি নিয়ে পথচারী রাস্তা দিয়েই হাঁটছেন। অভিযোগের জবাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘এ সব তো পুলিশের দেখার কাজ। ঠিক আছে দেখছি।’’