প্রতীকী ছবি।
জোড়াবাগানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত দ্বিতীয় অভিযুক্ত রণবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীরকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার তাকে লালবাজার থেকে নিয়ে আসা হয় ব্যাঙ্কশালের বিশেষ পকসো আদালতে। সেখানেই ওই নির্দেশ দেন বিচারক।
গত সপ্তাহে ধর্ষণ করে খুন করা হয় ৯ বছরের ওই বালিকাকে। সেই ঘটনায় রাম কুমার নামে এক দারোয়ানকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে খোঁজ মেলে রঘুবীরের। সোমবার তাকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই বিহারে পালিয়ে গিয়েছিল ওই অভিযুক্ত।
এ দিন আদালতে তোলা হলে রঘুবীরের মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি। আগাগোড়া সে ছিল ভাবলেশহীন। তার হয়ে কোনও আইনজীবীও সওয়াল করেননি। পুলিশ জানিয়েছে, রঘুবীরকে জেরা করে তার একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষায়। পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন ওই বালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে তার গলা কেটেছিল রঘুবীরই।
তদন্তকারীরা জানান, পুরনো কোনও অপরাধের সঙ্গে এই দুই অভিযুক্তের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষত, যে ভাবে ওই নাবালিকার উপরে যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং অচৈতন্য হয়ে পড়ার পরে তার গলা কাটা হয়েছে, তা দেখে তদন্তকারীরা কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না। এ দিকে, ওই ঘটনার পিছনে জড়িত বলে রাম এবং রঘুবীর দু’জনেই দু’জনের দিকে আঙুল তুলে বিভ্রান্ত করছে তদন্তকারীদের। তা থেকে পুলিশের অনুমান, ওই দু’জনের অতীত অপরাধের রেকর্ড থাকলেও থাকতে পারে। সেই কারণে তাদের বাড়ি যেখানে, সেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।