—প্রতীকী চিত্র।
কোনও মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো ঠিক আছে কি না, তা প্রতি বছর সরেজমিনে দেখতে আসতেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) পরিদর্শকেরা। চলতি বছর থেকে সেই পরিদর্শন বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে এনএমসি। তবে, আচমকা পরিদর্শন চালু থাকছে। সেই সময়ে যদি সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে পরিদর্শকদের সংগৃহীত তথ্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তা হলে এক কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রতি বছরের পরিদর্শন বন্ধ হওয়ায় এ বার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিকেই ‘সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট’ করে একটি ‘ডিক্লারেশন’ জমা দিতে হবে এনএমসি-র কাছে। ভবিষ্যতে যে কোনও সময়ে আচমকা এনএমসি-র তরফে পরিদর্শনে যদি ওই স্ব-মূল্যায়িত পত্রের সঙ্গে মিল না পাওয়া যায়, তা হলে জরিমানা করা হবে। প্রতিটি গরমিলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এনএমসি-র কর্তারা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সেই সংখ্যায় পরিদর্শক পাওয়া যাচ্ছে না। পরিদর্শকের যাতায়াত, হোটেলে থাকা, খাওয়াদাওয়া বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে এক-একটি পরিদর্শনে। তার চেয়েও বড় কথা, কোনও না কোনও ভাবে পরিদর্শনের কথা এবং কে আসছেন, তা-ও জেনে গিয়ে সেই মতো ব্যবস্থা করার অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছু বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। আবার, পরিদর্শনে কেউ অকৃতকার্য হলে সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলাও করা হচ্ছিল।
এই সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে তুলতেই নিয়মিত পরিদর্শন বন্ধ করে নয়া নিয়ম চালু করতে চলেছে এনএমসি। তবে জরিমানার পরে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন আর বহাল থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেনি তারা। যদিও স্বাস্থ্য শিবিরের অনেকেই বলছেন, যদি শুধু জরিমানা দিয়েই গরমিল থেকে অব্যাহতি মেলে, তা হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি সেই পথও বেছে নেবে। তাতে আখেরে স্বাস্থ্য-শিক্ষারই ক্ষতি হবে।