প্রতীকী ছবি।
ফোন করলেই বাড়ির সামনে চলে আসবে টোটো। অ্যাপ-ক্যাবের ধাঁচে নিউ টাউনে এ বার টোটো চালাতে চাইছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। বুধবার বিষয়টি নিয়ে দু’টি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে এনকেডিএ। টোটোচালকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, অনেক দিন ধরেই এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল। সে কারণেই এ দিন বৈঠকে দু’টি সংস্থাকে ডাকা হয়। একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এই ধরনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সূত্রের খবর, নিউ টাউন এলাকায় টোটোচালকেরা দৈনিক যে টাকা রোজগার করেন, করোনা পরিস্থিতিতে সেই রোজগার কয়েক গুণ কমেছে। অ্যাপের সাহায্যে বুকিংয়ের ব্যবস্থা হলে তাঁদের রোজগার বাড়তে পারে। চালকদের একাংশের বক্তব্য, নিউ টাউন এলাকার মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম টোটো। এই নতুন প্রযুক্তিতে সুবিধা হবে যাত্রী এবং চালক— দু’পক্ষেরই।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, এলাকায় বাসের সংখ্যা বাড়লেও তাতে কর্মসূত্রে আসা যাত্রীতেই ভর্তি হয়ে যায়। ইলেক্ট্রিক বা ব্যাটারি বাসও চলছে নিউ টাউনে। তাতে কিছুটা সুবিধা হলেও যানবাহনের সমস্যা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যাপ-ক্যাবের ব্যবস্থায় টোটো পাওয়া গেলে বিশেষ সুবিধা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের যাতায়াতে ঝক্কি কমবে। বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই টোটোর উপরে নির্ভরশীল। তবে তাঁদের আবেদন, টোটোর ভাড়া যেন সাধ্যের মধ্যেই থাকে।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, এ দিন দু’টি সংস্থা জানিয়েছে কী ভাবে অ্যাপ-ক্যাবের প্রযুক্তি টোটোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। টোটোচালকেরাও রাজি হয়েছেন। সূত্রের খবর, নিউ টাউনে প্রায় ৭৪০টি টোটো চলাচল করে। সবগুলিকেই এই ব্যবস্থায় আনার চেষ্টা চলবে।