প্রতীকী ছবি।
প্রবীণ নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে এ বার তাঁদের নিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে চলেছে নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। তবে শুধু তথ্যভাণ্ডার তৈরি করাই নয়, নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর রাখা এবং দরকারে সহযোগিতার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা রূপায়িত করতে নিউ টাউনের আবাসিক সমিতিগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করা হবে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গড়া হয়েছে টাস্ক ফোর্স। আবাসনগুলিকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি করা হবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। পাশাপাশি, এলাকাভিত্তিক ভাবে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল তৈরির ভাবনা রয়েছে। দলের সদস্যেরা নিয়মিত প্রবীণ নাগরিকদের খোঁজখবর রাখবেন। কারও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সেই তথ্য প্রশাসনকে জানানো হবে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে। এই প্রকল্পে ‘স্বপ্নভোর’, বিধাননগর পুলিশের ‘সাঁঝবাতি’ এবং আরও কর্মসূচিকেও যুক্ত করা হবে বলে খবর।
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, নিউ টাউনে বহু বয়স্ক নাগরিক আছেন যাঁদের সন্তানেরা থাকেন বিদেশে বা ভিন্ রাজ্যে। অনেকে একা থাকেন। ওই প্রবীণদের ভরসা বলতে বাড়িতে বিভিন্ন কাজে আসা কতিপয় ব্যক্তি। ইচ্ছে থাকলেও প্রতিবেশীদের পক্ষে সব সময়ে তাঁদের দেখভাল করা সম্ভব হয় না। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। আবার, প্রশাসনের একার পক্ষেও প্রবীণদের নিয়মিত দেখভাল করা মুশকিল। তাই সকলকে নিয়ে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অন্তত প্রবীণ নাগরিকদের কাছে এই বার্তা দেওয়া যাবে যে, তাঁরা একা নন। তাঁদের পাশে সকলে আছেন।
এর আগেও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে এনকেডিএ এবং হিডকো। এনকেডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, বয়স্কদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল। কারণ তথ্যভাণ্ডার তৈরি থাকলে যে কোনও প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ করা সম্ভব। তাই বাসিন্দারা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনকে যুক্ত করে এই কাজ করা হবে।