ছবি সংগৃহীত।
চলতি মাসে গড়িয়া-বারাসত রুটে চালু হচ্ছে রাত্রিকালীন সরকারি বাস পরিষেবা।
পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, এ জন্য গড়িয়া থেকে বারাসতের মধ্যে রাত সাড়ে ন’টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নন এসি বাস চালানো হবে। ওই রুটে বাসের নম্বর এনএস-১৫। বর্তমানে গড়িয়া-বারাসত রুটে এসি-৩৭ বাসের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। সারাদিনে ওই রুটে ১২-১৩টি বাস চলে। দিনের বেলা ওই রুটে বেসরকারি বাস চললেও সরকারি বাসের যাত্রীর সংখ্যা কখনও কমেনি। চাহিদা বেশি থাকায় এসি বাসের পাশাপাশি ওই রুটে এস-৩৭এ নামে নন এসি বাসও চালু করেছে পরিবহণ দফতর। এ বার শুরু হচ্ছে রাতের পরিষেবা।
বছর খানেক আগে হাওড়া-শিয়ালদহ-বিমানবন্দরকে ঘিরে রাত্রিকালীন বাস পরিষেবা শুরু করেছিল পরিবহণ দফতর। তাতে সাড়া মেলায় ই এম বাইপাস বরাবর গড়িয়া-বারাসত রুটেও সেই পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা হয়। দফতর সূত্রের খবর, বারাসত এবং গড়িয়া থেকে রাত ৯টা ৩০, ১১টা ৪৫, ১টা ৪৫ এবং ভোর ৪টা ১০ মিনিটে বাসগুলি ছাড়বে। শেষ বাস গন্তব্যে পৌঁছবে সকাল ৬টায়।
বাইপাসের ধারে একাধিক হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন রোগীর আত্মীয়দের অনেক সময়েই সারারাত যাতায়াত করতে হয়। গভীর রাতে কোনও পরিবহণ ব্যবস্থা চালু না থাকায় বেশি টাকা দিয়ে অ্যাপ-ক্যাব বা ট্যাক্সি ভাড়া করতে বাধ্য হন তাঁরা। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, এমন যাত্রীদের কথা ভেবেই রাতে বাস চালানোর পরিকল্পনা। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গড়িয়া-বারাসত খুব জনপ্রিয় এবং লাভজনক রুট। চাহিদা থাকায় ওই রুটে রাতে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
এ ছাড়াও টালিগঞ্জ থেকে ঠাকুরপুকুরের মধ্যে এখন একটি এসি বাস বিকেলে চলে। সেই সংখ্যা দু’টি হয়েছে। বেহালার শিবরামপুর থেকে হাওড়ার মধ্যে চালু বাসের রুট কিছুটা বদলানো হচ্ছে। ওই রুটের বাসগুলি এর পর টালিগঞ্জ হয়ে হাওড়া যাবে।