রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেখানে আরও একটি ডগ স্কোয়াড চালু করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ৷
রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেখানে আরও একটি ডগ স্কোয়াড চালু করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ৷ সেই সঙ্গে কুকুরদের জন্য অত্যাধুনিক একটি চিকিৎসা কেন্দ্রও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে কলকাতা পুলিশের সারমেয় বাহিনীর সব ধরনের চিকিৎসা একই ছাদের তলায় করা যায়। ওই ক্লিনিকে অতিরিক্ত কয়েক জন চিকিৎসককে নিয়োগ করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন বাহিনীর কর্তারা।
লালবাজার সূত্রের খবর, বর্তমানে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে (পিটিএস) কুকুরদের একটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেখানে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। তাই অসুস্থ কুকুরদের নিয়ে প্রায়ই ছুটতে হয় বেসরকারি ক্লিনিকে। তাতে চিকিৎসা শুরু হতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। সেই কারণে নবান্নের জন্য তৈরি হওয়া নতুন ডগ স্কোয়াডে বাহিনীর সারমেয়দের জন্য অত্যাধুনিক সব ধরনের চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, মৃত কুকুরদের কবরস্থ করার জন্য সেখানে একটি ‘ডগ বেরিয়াল গ্রাউন্ড’ তৈরিরও ভাবনা রয়েছে বাহিনীর কর্তাদের। বর্তমানে পিটিএসে কুকুরদের
সমাধিস্থ করা হলেও জায়গার অভাবে সেগুলি চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু নবান্ন সংলগ্ন নতুন ডগ স্কোয়াডে জায়গার অভাব হবে না। তাই সেখানে কুকুরদের সমাধিস্থ করার পরে ‘এয়ার মার্ক’ করা যাবে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া, সারমেয় বাহিনীর জন্য সেখানে সুইমিং পুল তৈরির কথাও ভাবা হয়েছে।
নবান্নের উত্তর দিকের গেটের কাছেই তৈরি হচ্ছে বাহিনীর দ্বিতীয় ডগ স্কোয়াড৷ সেখানে ৩০টি কুকুরকে রাখার মতো একটি কেনেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই জায়গায় তৈরি হচ্ছে কলকাতা পুলিশের নয়া ব্যারাকও। পুলিশকর্তাদের আশা, আগামী বছরের গোড়ার দিকেই ওই কাজ সম্পন্ন হবে।
লালবাজার জানাচ্ছে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশের সারমেয় বাহিনীতে ৩৮টি কুকুর রয়েছে, যাদের মধ্যে ল্যাব্রাডর, জার্মান শেফার্ড, ককার স্প্যানিয়েল এবং বিগ্ল-ই প্রধান। ওই বাহিনীর জন্য নতুন আরও ১০টি কুকুর কেনা হবে। এপ্রিলে প্রশিক্ষণ শেষ হলে তারা বাহিনীর হাতে চলে আসবে। সারমেয় বাহিনীর এক কর্তা জানান, নবান্নের ওই নতুন স্কোয়াডে ৩০টি কুকুর থাকবে। ইতিমধ্যে ১২টি কুকুর তাঁদের হাতে আছে। নতুন বছরে আরও ১৮টি কেনা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে নবান্নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিনে তিন বার পুলিশ কুকুরদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়৷ নতুন ডগ স্কোয়াড তৈরি হলে পিটিএস থেকে আর ওই বাহিনীকে সেখানে যেতে হবে না। তাতে কাজে অনেকটাই সুবিধা হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, বেশি দূরে নিয়ে গেলে কুকুরদের ঘ্রাণশক্তির সমস্যা হয়৷ নবান্নের ওই ডগ স্কোয়াড তৈরি হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।