প্রতীকী ছবি।
সচেতনতার প্রচারে পোস্টার বা ভিডিয়োর বন্দোবস্ত করতে হবে পানশালায়। তরলে চুমুক দিয়ে গানবাজনা শোনার ফাঁকে যাতে চোখে পড়ে কোভিড ১৯ অতিমারি নিয়ে সতর্কবার্তা। শুক্রবার রাজ্য আবগারি দফতরের তরফে গানবাজনার আয়োজন করা পানশালাগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত বুধবার শহরের বিভিন্ন পানশালায় দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা ফোন করে বা এসএমএস পাঠিয়ে গানবাজনা বন্ধের নির্দেশ দেন। পুজোর ঠিক আগে ফি-সন্ধ্যায় এক ঘণ্টার জন্য চালু হয়েছিল বারের গানবাজনা। আবগারি দফতরের সক্রিয়তায় সেই পাট ফের উঠতে বসেছিল। এ নিয়ে পানশালা মালিকেরা ধন্দে পড়েছিলেন। আবগারি দফতরের কমিশনারের তরফে এ বার রাজ্যের সব জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, গানবাজনার ছাড়পত্র আছে এমন অনেক পানশালা দূরত্ব-বিধি মানছে না।
পশ্চিমবঙ্গ আবগারি আইনের ২৩৯ নম্বর শর্ত অনুযায়ী চালু ছিল নিয়মাবলী। সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-সতর্কতার বিধি। সে সব না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন কমিশনার। বলা হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জ়োনে পানশালা খোলা যাবে না। মাস্ক পরাতে হবে সবাইকে, ৫০ শতাংশের বেশি টেবিল ভর্তি করা যাবে না। তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ও হাতশুদ্ধির ব্যবস্থা রাখতেও বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যে কোনও নিরাপত্তা-বিধিও মানার কথা বলা হয়েছে।
চাঁদনি চকের একটি পানশালা জানিয়েছে, কোভিড সতর্কবার্তা সংক্রান্ত পোস্টার তারা মেলে ধরবে। ধর্মতলার এক পানশালার ব্যান্ডলিডার অর্জুন সোমও জানান, তাঁরাও সতর্কতা-বিধি নিয়ে সজাগ থাকবেন।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাত আটটা থেকে ন’টা পর্যন্তই গানবাজনার মেয়াদ থাকছে। মানতে হবে আবগারি দফতরের শর্তও।’’