প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের মধ্যে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা, একটি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী। বিমানবন্দরের কাছে ছোট মালবাহী গাড়ির ধাক্কায় জখম হন তিনি। তার পরে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। তবে শনিবার বারাসত আদালতে বসা লোক আদালতের বিচারক এক দিনের বিচারেই তাঁকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিলেন।
করোনা পরিস্থিতির জেরে সব আদালতেই বিভিন্ন মামলা আটকে রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আদালতে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের। এই অবস্থায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ও মহকুমা আদালতে পড়ে থাকা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হল শনিবার। মোটর দুর্ঘটনা বিমা, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, ব্যাঙ্কের ঋণ-সহ নানা মামলায় এ দিনই মোট ১৩ কোটি ৬৫ লক্ষেরও বেশি টাকার ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করলেন বিচারকেরা।
এ দিন জাতীয় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের (নালসা) নির্দেশে এ রাজ্যে বসে জাতীয় লোক আদালত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় চলতি বছরে এ দিনই প্রথম লোক আদালত বসল। বারাসত জেলা আদালত ছাড়াও বিধাননগর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমা আদালতেও একই সঙ্গে চলে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিভিন্ন মামলার বিচার। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সেখানে জেলা জজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সচিব এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকেরা। সশরীরে ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
শনিবার গোটা জেলায় ৩৪টি বেঞ্চের প্রতিটিতে তিন জন করে বিচারক ছিলেন। ৮২৩৮টি মামলার মধ্যে ৫৪৬৪টির নিষ্পত্তি হয়। শুধু মোটর দুর্ঘটনা বিমার মামলাতেই ১১ কোটি আশি লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেন বিচারকেরা। রফা হয় ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ সংক্রান্ত তিনশোরও বেশি মামলার। জেলায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মোট ১ কোটি ৭৩ লক্ষের বেশি অনাদায়ী ঋণ পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থাও হয়।