পি ভি সিন্ধু। —ফাইল চিত্র।
গত বছর কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে ফেরার পরেই তিনি চোটের কারণে কোর্টের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। নতুন বছরে পি ভি সিন্ধু ফিরে এলেও তাঁর খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবারই তিনি সিঙ্গাপুর ওপেন ব্যাডমিন্টনের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন।
কিন্তু ভারতের এক নম্বর মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকার ছন্দহীনতা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন পুল্লেলা গোপীচন্দ। ভারতীয় দলের মুখ্য কোচ বলেছেন, ‘‘সিন্ধুর বয়স তো বেশি হয়নি। বড়জোর ২৬-২৭ বছর বয়স। এটা নিয়ে ভাবার কোনও কারণ রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’’
চলতি বছরে মাদ্রিদ মাস্টার্স এবং মালয়েশিয়া মাস্টার্স ব্যাডমিন্টনে শেষ চার পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন সিন্ধু। দশ বছর বয়স থেকে ভারতীয় তারকাকে নিজের হাতে তৈরি করা গুরু গোপী মনে করেন, তাঁর প্রাক্তন ছাত্রী দ্রুত জড়তা ঝেড়ে স্বমেজাজে ফিরবেন। তিনি বলেছেন, ‘‘গত ছ’আট মাস পরে ও আবার কোর্টে ফিরেছে। আমি তো মনে করি ভালই খেলছে। আশা করি, আরও ভাল খেলবে। এখনও সিন্ধু ভারতের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।’’
চলতি মরসুমে সিন্ধুর উত্থান-পতন প্রসঙ্গে গোপীর বিশ্লেষণ, ‘‘সবে তো শুরু হয়েছে মরসুম। এর পরে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা পর্বের খেলা শুরু হবে। খেলোয়াড়দের উপরে অনেক ধরনের চাপ থাকে। কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব সেই চাপ থেকে ওদের মুক্ত রাখা, যাতে ওরা বড় প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা খেলাটা তুলে ধরতে পারে।’’
তবে গোপী খুশি হয়েছেন মালয়েশিয়া মাস্টার্স ব্যাডমিন্টনে এইচ এস প্রণয়কে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখে। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি সার্বিক ভাবে বিষয়টার পর্যালোচনা করা যায়, তা হলে প্রণয়ের সাম্প্রতিক সাফল্য একটা বড় প্রাপ্তি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে খুবই আনন্দ পেয়েছি ওকে অনেক দিন পরে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখে।’’
সেখানেই না থেমো গোপী যোগ করেছেন, ‘‘সুদিরমান কাপে আমাদের ফল ভাল হয়নি, তবে তাইল্যান্ড ওপেনের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল লক্ষ্য সেন। আমি মনে করি, আগামী কয়েকটা সপ্তাহ আমাদের কাছে বড় পরীক্ষা হতে চলেছে। ওই সময় বেশ কয়েকটা বড় মানের প্রতিযোগিতা রয়েছে।’’
খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গে গোপী বলেছেন, ‘‘টানা ম্যাচ খেলতে হচ্ছে বলে খেলোয়াড়েরা মনে করছে ব্যক্তিগত কোচ নিয়োগ করা দরকার। এমন তো হতেই পারে।’’