unnatural death

মিলল হরিদেবপুরে মৃত তরুণীর পরিচয়, সোমবার বিকেলে নরেন্দ্রপুরের বাড়ি থেকে বেরোন, তার পর?

দোলের দিন সকালে হরিদেবপুরের একটি গলিতে এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাছে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরে পুলিশ জানতে পারে মৃতার বাড়ি নরেন্দ্রপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৩
Share:

দোলের সকালে হরিদেবপুরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার তরুণীর পরিচয় জানল পুলিশ। — প্রতীকী ছবি।

দোলের দিন সকালে হরিদেবপুরের গলিতে এক তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেল পুলিশ। মৃতার বাড়ি নরেন্দ্রপুরে। তিনি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকেই আর খোঁজ নেই। মঙ্গলবার সকালে হরিদেবপুরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম ডালিয়া চক্রবর্তী। তিনি বিবাহিত। বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। হরিদেবপুরে তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে ডালিয়া নরেন্দ্রপুরের বাড়ি থেকে বেরোন। বাড়িতে জানিয়েছিলেন, কারও কাছে পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি কি হরিদেবপুরে আসবেন বলে বেরিয়েছিলেন? জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ডালিয়া কার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তা জানতে পারলে মৃত্যু রহস্য আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। হরিদেবপুর থানার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের হোমিসাইড শাখাও। ডালিয়ার স্বামী রাহুল-সহ পরিবারের অন্যান্যরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন।

মঙ্গলবার সকালে হরিদেবপুরের একটি গলির কোণে এক তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। কাছে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে মহিলার বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। সোমবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু কোথায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তা জানাননি, শুধু বলেছিলেন, কারও থেকে পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছেন। পুলিশের অনুমান, তরুণীকে অন্য কোথাও খুন করে তার পরে হরিদেবপুরে ফেলে যায় আততায়ীরা। টাকা নিয়ে গোলমালেই কি ডালিয়াকে খুন করা হল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ডালিয়ার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। তা দেখে পুলিশ মনে করছে, শ্বাসরোধ করেই ডালিয়াকে খুন করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement