Narendra Modi on Gita Path at Brigade

নিজে না এলেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা চলে এল ব্রিগেডে, কী বললেন ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের’ আগে?

রবিবার সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের তরফে কলকাতার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে জমায়েতও। ব্রিগেডে বার্তা পাঠিয়েছেন মোদী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৩
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী। —ফাইল চিত্র।

কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেননি তিনি। শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হয়েছে ঘোষিত কর্মসূচি। ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের’ দিনও বাংলার বিজেপি মহলে সেই হতাশার রেশ থেকে গিয়েছে। কর্মী, সমর্থকদের চাঙ্গা করতেই যেন মূল কর্মসূচির ঠিক আগের রাতে চলে এল স্বয়ং নেতার বার্তা। ব্রিগেডে আসতে না পারলেও বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

রবিবার কলকাতার ব্রিগেডে গীতাপাঠ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ। ব্রিগেডে রবিবার লক্ষ জনের কণ্ঠে গীতাপাঠ করা হবে বলে দাবি। এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁর কলকাতা সফর বাতিল হয়েছে। শনিবার রাতে মোদী ব্রিগেডের কর্মসূচির জন্য আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চিঠি।

চিঠিতে মোদী লিখেছেন, ‘‘সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের উদ্যোগে কলকাতায় ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির যে আয়োজন করা হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এটাই আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও আমাদের শক্তি।সেই মহাভারতের সময় থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, বর্তমান সময়েও গীতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। গীতা জ্ঞানের ভান্ডার। জীবনের চালিকাশক্তি। ভারতের সংস্কৃতি অনুযায়ী জীবনযাপনের এবং অগ্রগতির বহু পরস্পর সংযুক্ত পথ দেখায় গীতা। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে এত মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকেই আরও জোরদার করবে। দেশের উন্নয়ন-যাত্রার ক্ষেত্রেও যা আবশ্যক। উন্নত, শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার জন্য ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সুযোগ আছে। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ সকলের জন্য শান্তি নিয়ে আসুক। আয়োজকদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’

Advertisement

বিজেপি সূত্রে খবর, মোদীর এই বার্তা রবিবার ব্রিগেডে পাঠ করা হতে পারে। কর্মী, সমর্থক এবং আয়োজকদের উৎসাহ তাতে আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে বিজেপি সামনে থেকে এই কর্মসূচির নেতৃত্বে নেই। দলের নেতারাও কেউ মঞ্চে থাকবেন না। তাঁরা সকলেই রবিবার ব্রিগেডে থাকবেন স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায়।

রবিবার ভোর থেকেই ব্রিগেডে জমায়েত শুরু হয়ে গিয়েছে। নানা প্রান্ত থেকে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মানুষ। বাংলার বিজেপি নেতারা সকলেই সকাল ৯টার মধ্যে ব্রিগেডে পৌঁছে যাবেন বলে খবর। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। ‘গীতাপাঠ’-এ আয়োজকের ভূমিকায় না থাকলেও বিজেপি শিবিরে এই কর্মসূচি নিয়ে উন্মাদনা কম নেই। দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার অনেক রাতে ব্রিগেডে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গীতাপাঠের যাবতীয় প্রস্তুতি তিনি খতিয়ে দেখে এসেছেন। গীতাপাঠের আগে ব্রিগেডে নজরুল সঙ্গীতও গাওয়া হবে। শনিবার সারা দিন সেখানে মূল কর্মসূচির মহড়া চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে রবিবারের কর্মসূচি সফল হবে বলে আশাবাদী বঙ্গের বিজেপি নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement