প্রতীকী ছবি।
অফিসে ঢোকা-বেরোনোর সময়ে হাজিরা খাতায় সই করার দিন প্রায় শেষ। কার্ড পাঞ্চ করে ঢোকা-বেরোনোর পরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিও চালু হয়েছে বহু জায়গায়। এ বার কর্মীদের হাজিরার হিসেব রাখতে তাঁদের ছবি তোলার জন্য উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রের ব্যবহার শুরু করলেন নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ। এই পদ্ধতির পোশাকি নাম ‘ফেস রেকগনিশন অ্যাটেন্ড্যান্স সিস্টেম’। মুখের ছবির মাধ্যমে মোবাইল বা ল্যাপটপ খোলার যে পদ্ধতি, সেটাই অনুসরণ করা হচ্ছে।
নবদিগন্ত সূত্রের খবর, দফতরের একতলায় লিফটের সামনে বসানো হয়েছে ওই নয়া যন্ত্র। সামনে দাঁড়ালে কর্মীর ছবি তুলবে ওই যন্ত্রে থাকা ক্যামেরা। তার পরে নিজে থেকেই হাজিরা খাতায় ওই কর্মীর নাম উঠে যাবে। মঙ্গলবার থেকেই পাঁচ নম্বর সেক্টরের নবদিগন্ত অফিসে ওই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসগুলির মধ্যে নবদিগন্তেই প্রথম এই ব্যবস্থা চালু হল বলে খবর।
তবে সরকারি অফিসে কর্মীরা ছাড়াও বহু মানুষ যাতায়াত করেন। সে ক্ষেত্রে কে কর্মচারী এবং কে বহিরাগত, তা কী ভাবে চিহ্নিত করা যাবে, উঠছে সেই প্রশ্নও। নবদিগন্ত সূত্রের খবর, কর্মচারীদের ছবি আগেই ডেটাবেসে তোলা থাকবে। ফলে ছবি ওঠার পরে ডেটাবেসের ছবির সঙ্গে মুখের মিল থাকলেই হাজিরা খাতায় নাম উঠে যাবে কোনও কর্মীর। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ক্যামেরা বসলে কর্মী এবং বহিরাগতদের আলাদা করে শনাক্তকরণও সম্ভব হতে পারে।
নবদিগন্তের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা রয়েছে, যা নতুন এই প্রযুক্তিতে থাকছে না। নতুন এই ব্যবস্থায় হাজিরা সংক্রান্ত সমস্যা আর থাকবে না বলেই তাঁদের আশা।