বদলাতে চলেছে এমন দৃশ্য। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
রাস্তার ধারে ফুটপাতে পরপর দোকান। সেখানে দাঁড়িয়েই চলে খাওয়াদাওয়া। ধুলো উড়িয়ে তীব্র বেগে চলে যাচ্ছে গাড়ি। পাশেই ফেলা হচ্ছে উচ্ছিষ্ট। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক পাঁচ নম্বর সেক্টরের এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। নবদিগন্তের তরফে এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন জায়গায় ফুড কোর্ট তৈরির পরিকল্পনাও হয়েছিল। হকারদের যুক্তি, ওই পরিকল্পনা কার্যকর হলে বিক্রি কমবে। নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি তাই প্রযুক্তির সাহায্যে সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটছে।
নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, বর্তমানে বিভিন্ন অ্যাপনির্ভরকারী সংস্থা দোকান বা রেস্তরাঁ থেকে খাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেই মতো কোনও একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত একটি সংস্থা এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে। আরও কয়েকটি সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তাব জমা পড়লে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থা।
তারা অ্যাপের মাধ্যমে রাস্তার ধারের দোকান থেকে খাবার নিয়ে শিল্পতালুকের বিভিন্ন অফিসে সরবরাহ করবে। তবে সমস্যা হল, হকারদের সকলের স্মার্ট ফোন নেই। সে ক্ষেত্রে এসএমএসের মাধ্যমে অর্ডার হকারদের কাছে পৌঁছনো যায় কি না তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নয়া আইনের প্রতিবাদে পথে বিনোদন জগতের মানুষেরাও
আরও একটি বিষয় হল এ জন্য লোকের প্রয়োজন। নবদিগন্ত সূত্রের খবর, তারা শুধু ব্যবস্থাপনার রূপরেখা তৈরি করে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে লোক নিয়োগ করতে হবে। যদিও সবটাই এখন পরিকল্পনার স্তরে।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা জানাচ্ছেন, এমন কিছু হলে অফিসে বসেই খাবার পাওয়া যাব। ফলে বর্ষা বা শীতে এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন অনেকেই। হকারদের অবশ্য মত, পুরো পরিকল্পনা না জানলে এই উদ্যোগ কতটা কাজে লাগবে, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: পাখিরালয়ের পরিকল্পনা বাতিল রবীন্দ্র সরোবরে
নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষের দাবি, এমন পরিকল্পনা কার্যকর হলে হকারদের ব্যবসা বাড়বে। রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও কমবে। এক কর্তা জানান, বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। কার্যকর হলে শিল্পতালুকের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং খাবারের মানও বজায় থাকবে।