প্রতীকী ছবি।
খড়দহের বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধছে। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি খুন বলে মনে হলেও কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা। রবিবার খড়দহের পানশিলায় একটি চারতলা আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সৌমিত্র মুখোপাধ্যায় (৫৫) ওরফে রতন এবং তাঁর স্ত্রী উমা মুখোপাধ্যায়ের (৫০) দেহ। ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে হ্যাচবোল্ট দিয়ে বন্ধ ছিল। সেটি খুলে ঢুকে আর একটি ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার হয় ওই দম্পতির দেহ।
রবিবার দিনভর খোঁজখবর করে উমাদেবীর বাপের বাড়ির লোকজনের সন্ধান পায় খড়দহ থানা। জানা যায়, আগরপাড়ার মহাজাতিনগরে থাকেন উমাদেবীর দাদা ও বোন। তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও উমাদেবীর প্রায় যোগাযোগ ছিল না বললেই চলে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাঁরা কাউকে ওই দম্পতির ফ্ল্যাটে আসা-যাওয়া করতে কখনও দেখেননি। আবার, আত্মীয়দের সঙ্গেও সৌমিত্রবাবুদের যোগাযোগ ছিল না। এখানেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তা হলে ওই দম্পতির ফ্ল্যাটে কে বা কারা এসেছিলেন? কারণ, ঘটনাস্থল দেখে পুলিশ বুঝতে পেরেছে, ঘটনার সময়ে ওই দম্পতি ছাড়াও আরও কয়েক জনের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু আবাসনে কোনও ক্যামেরা না থাকায় কে বা কারা এসেছিল, বুঝতে পারছেন না তদন্তকারীরা। ঘরটি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।