প্রতীকী ছবি
লিলুয়ার একটি পুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ের হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য তৈরি হয়েছে। মৃতের নাম রামবিলাস রায় (৫০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মদ্যপান করা নিয়ে ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে গোলমাল হয় রামবিলাসের। এর পরে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই প্রৌঢ়ের বাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে রামবিলাসের পরিবার বিহারের কৈখালিতে বসবাস করত। ওই প্রৌঢ়ের চার মেয়ে, এক ছেলে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই মত্ত অবস্থায় ছেলেমেয়েদের মারধর করতেন রামবিলাস। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁর স্ত্রী বছর তিনেক আগে এক আত্মীয়ের সাহায্যে লিলুয়ায় চলে আসেন। সেখানে চকপাড়ায় একটি ক্লাবের কাছে বাড়ি ভাড়া নেন। পুলিশ জানায়, স্ত্রী চলে আসার দু’বছর পরে রামবিলাসও লিলুয়ায় এসে থাকতে শুরু করেন।
পুলিশ জেনেছে, সোমবার রাতে ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে ফের অশান্তি হয় ছেলেমেয়েদের। পরিবারের দাবি, এর পরে রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রামবিলাস। এ দিন বিকেলে স্থানীয় একটি ক্লাবের পাশে পুকুরে তাঁর হাত-পা বাঁধা দেহ ভাসতে দেখেন এলাকাবাসীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির পা ভাল করে বাঁধা থাকলেও হাত বাঁধা ছিল একটি সরু দড়ি দিয়ে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ় নিজেই হাত বেঁধেছিলেন, না কি হাত-পা বেঁধে তাঁকে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি। রামবিলাসের ছেলেমেয়েদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।