পরিবারের লোকেরা দরজা ভেঙে ঢুকে ফিরোজের দেহ দেখেন। প্রতীকী ছবি
বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই অন্য জায়গায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকার জন্য স্বামীকে চাপ দিচ্ছিলেন স্ত্রী। স্বামীর পরিবারের অভিযোগ তেমনই। কিন্তু ওই ব্যক্তি যেতে রাজি ছিলেন না। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। থাকতে না পেরে দিনকয়েক আগে মা-বাবার কাছে চলে যান মহিলা। এর পরে বৃহস্পতিবার নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে সরশুনা থানা এলাকার সরশুনা কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ফিরোজ গাজি। বছর চব্বিশের ওই যুবক সরশুনা থানার শকুন্তলা পার্কের ধাড়াপাড়া এলাকায় থাকতেন। গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে লেক টাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজের। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকা নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি শুরু হয়। ঘিঞ্জি এলাকায় থাকা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকার জন্য ফিরোজকে জোর করতে থাকেন স্ত্রী। যুবকের পরিবারের আরও অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকেও মাঝেমধ্যে এই নিয়ে চাপ দেওয়া হত। বিষয়টা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত বলে দাবি স্থানীয়দের। সম্প্রতি ফিরোজের স্ত্রী তাঁর মা-বাবার কাছে চলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় খাওয়াদাওয়ার পরে নিজের ঘরে চলে যান ফিরোজ। কিন্তু এ দিন সকালে বহুক্ষণ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। তাঁরা দরজা ভেঙে ঢুকে ফিরোজের দেহ দেখেন। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ইদানীং নানা কারণে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে মনমরা হয়ে গিয়েছিলেন ফিরোজ। বাড়ি থেকেও তেমন বেরোতেন না।’’ এ দিনই মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করা হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।