তকাল মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই এই মামলার তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার তিলজলার সরকারি আবাসন থেকে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় নামে মধ্যবয়ষ্ক এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সেই ঘটনাতেই মগরাহাট থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম শুভ সর্দার ও রাহুল হালদার। ঘটনায় একজনকে আটকও করা হয়েছে।
গতকাল মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই এই মামলার তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন যিনি, সেই মহিলার ছেলের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন জয়ন্ত। গত ৬ ডিসেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ আততায়ীরা জয়ন্তর বাড়িতে আসে। রাত ১১টা ২০মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তার মধ্যেই মদ্যপানের সময় কোনও কারণে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। শেষে মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে বঁটি দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয় জয়ন্তকে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ অনুমান করেছিল, ডাকাতির জন্যই এই খুন করা হয়েছে। সেই অভিযোগই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাঁদের অনুমান, সোনাদানা, টাকাপয়সা হাতানোর জন্যই তিন-চারদিন আগে জয়ন্তর সঙ্গে মদ্যপান করতে বসে অভিযুক্তরা। তারপরই জয়ন্তকে খুন করে গয়না, টাকা লুঠ করে পালায়। গতকাল থেকেই জয়ন্তর মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গ্রেফতার হওয়া যুবকদের থেকে উদ্ধার হয় মোবাইল ফোনটি। ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলবেন না, নড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে মমতাকে হুঁশিয়ারি ধনখড়ের
বৃহস্পতিবার তিলজলা থানা এলাকার কুষ্টিয়া সরকারি আবাসনে কাজ করতে আসা মিস্ত্রিরা তিনতলার একটি দরজা বন্ধ ফ্ল্যাটে এক জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে লালবাজারে হোমিসাইড শাখার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মায়ের মৃত্যুর পর ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন জয়ন্ত। কোনও কাজও করতেন না। তাঁর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: দু’পয়সার সাংবাদিকের পর দু’আনার নেতা, এ বার মহুয়ার তির বিজেপির দিকে