মায়ের দেহ মেঝেতে এবং মেয়ের দেহ বিছানার উপর পড়েছিল। প্রতীকী ছবি।
শহরের বুকে একের পর এক রহস্যমৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার সকালেই পাটুলি থেকে মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। আর বেলা বাড়তেই রহস্যজনক ভাবে মৃত আরও দুই দেহ উদ্ধার করা হল সল্টলেক থেকে। শুক্রবার সাত সকালে সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার করা হল মা-মেয়ের মৃতদেহ। মেয়ের নাম স্নেহা ঘোষ এবং মায়ের নাম সুপর্ণা ঘোষ। স্নেহার দেহ বিছানায় এবং সুপর্ণার দেহ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপর্ণার স্বামী আশিস ঘোষ এক মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন। স্নেহারও স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে আগেই।
প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, মা-মেয়ে দু’জনেই আত্মহত্যা করেছেন। মানসিক অবসাদের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিষের শিশি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মিলেছে সুইসাইড নোটও। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ঘরে সুপর্ণার স্বামীর একটি ছবি রয়েছে। সেই ছবির সামনে ২০ হাজার টাকা এবং যাবতীয় পরিচয়পত্র রাখা ছিল। সেখানেই রাখা ছিল সুইসাইড নোটটি। এই সুইসাইড নোটে প্রশাসনকে পারলৌকিক ক্রিয়া করার আবেদন জানানো হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘর থেকে প্রচুর জল বেরোতে দেখে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি শুরু করে। তবুও সাড়া না মেলায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বিধাননগর নর্থ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।