প্রতীকী ছবি।
এ জে সি বসু রোড উড়ালপুলে মালবাহী গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও দু’জনের। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদের নাম সুমিতা কোঁড়া এবং সন্তু দে রায়। শনিবার সকালে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়। সুমিতার বাড়ি বর্ধমানের নতুনগঞ্জে এবং সন্তুর বাড়ি কলকাতার রাইফেল রেঞ্জ রোডে।
এই নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল তিন। শুক্রবারই মারা গিয়েছেন রণজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তি। গত ২৩ ডিসেম্বর, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাবুঘাট থেকে গোলাপি মাহালি নামে এক মহিলার ঘাটকাজ সেরে ছোট মালবাহী গাড়ি বোঝাই করে বাড়ি ফিরছিলেন অনেকে। তাতে ছিলেন গোলাপির কয়েক জন পরিজন, পারিবারিক বন্ধু ও পড়শিরা। এ জে সি বসু রোড উড়ালপুল থেকে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ের কাছে নামার আগে আচমকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনায় জখম হন ২৯ জন। যাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক জনের পরিচয় সেই সময়ে জানা যায়নি। সেই অজ্ঞাতপরিচয় মহিলাই গোলাপির আত্মীয়া সুমিতা কোঁড়া বলে পুলিশ জানিয়েছে। গোলাপির শ্রাদ্ধে যোগ দিতে বর্ধমান থেকে এসেছিলেন। মাহালি পরিবার সূত্রের খবর, সন্তু গোলাপির ছেলের বন্ধু। বন্ধুর মায়ের ঘাটকাজে বাবুঘাটে গিয়েছিলেন তিনি।
এ দিন মাহালি পরিবারের পড়শিরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি আহতদের মধ্যে আরও তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গোলাপির ছেলে, বৌমা-সহ আরও এক জন।