ঢেউ: বর্ষা ঢুকতেই পথ যখন নদী। শুক্রবার, মহাত্মা গাঁধী রোড। ছবি: রণজিৎ নন্দী
সকালের এক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতেই উত্তর কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় জল দাঁড়িয়ে গেল। ওই রাস্তাগুলি মূলত হল, ঠনঠনিয়া কালীমন্দির সংলগ্ন এলাকা, আমহার্স্ট স্ট্রিটের একাংশ, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের কিছু অংশ। দক্ষিণে জল জমার খবর নেই বলে পুরসভার নিকাশি দফতর দাবি করেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতায় মোট ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পুরসভার রেকর্ড অনুযায়ী, উত্তরে ঘণ্টার হিসেবে বৃষ্টির পরিমাণ পামার ব্রিজে ৪২ মিলিমিটার, মানিকতলায় ৪০ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় ৪২ মিলিমিটার উল্লেখযোগ্য। আবার যোধপুর পার্ক এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ঘণ্টায় ৪৩ মিলিমিটার। যা দক্ষিণ কলকাতায় সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ঘণ্টার হিসেবে দক্ষিণে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও তার আশপাশের এলাকায় ৩৩ মিলিমিটার, চেতলা পার্ক অঞ্চলে ৩০ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ২৮ মিলিমিটার, কামডহরিতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব কলকাতার ধাপা লকগেটে বৃষ্টি হয়েছে ১৯ মিলিমিটার।
উত্তরের জল দাঁড়ানোর কারণ কী?
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা পুরসভার নিকাশি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তারক সিংহ বলেন, “ঠনঠনিয়া ও মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে নিকাশি নালার সমস্যায় অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যায়। ওই সব জায়গায় পুরকর্মী থাকছেন, জল জমলেই ম্যানহোল খুলে জল বার করে দেওয়া হচ্ছে।” তিনি জানান, বর্ষায় এই জায়গাগুলিতে যাতে জল না জমে থাকে সে দিকে নজর থাকবে।
নিকাশি দফতর সূত্রের খবর, শহরের যে ১৮টি জায়গায় পলি আটকে আছে বলে পুরসভা সমীক্ষা করেছিল, সেই জায়গাগুলি তার অন্তর্গত। আবার চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের আশপাশের অনেক অঞ্চলই অপেক্ষাকৃত নিচু। তবে পূর্ব কলকাতায় কম বৃষ্টি হওয়ায় তার প্রভাব পড়েনি। তা ছাড়া পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সব ক`টি পাম্পই সচল ছিল।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে এ দিন বর্ষা ঢুকেছে। তার জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।