প্রতীকী ছবি।
আর আট দিন পরেই পুজো। তার আগে অজানা জ্বরে কাঁপছে কামারহাটির বেশ কিছু এলাকা। ইতিমধ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয়েছে এক তরুণী গৃহবধূর। পরিস্থিতি সামাল দিতে অবশেষে ভ্রাম্যমাণ রক্ত পরীক্ষার গাড়ির পরিষেবা চালু করল পুরসভা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কামারহাটি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণেশ্বর রেল কলোনি এবং মে দিবস পল্লিতে অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। গত রবিবার সেখানকারই বাসিন্দা অর্পিতা পাসোয়ান (৩৫) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এখনও ওই দুই অঞ্চলে প্রায় ২৫ জন অজানা জ্বরে আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোটা এলাকা ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি। নিকাশি নালাগুলি প্রায় বুজে গিয়েছে। পুকুরগুলিরও অবস্থাও অস্বাস্থ্যকর।
কামারহাটির চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) বিমল সাহা বলেন, ‘‘কলোনি সাফ রাখার দায়িত্ব রেলের। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। ডেঙ্গি রুখতে এখন পুরসভাকে সাফাই অভিযানে নামতে হচ্ছে। বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।’’ বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণেশ্বরের রেল কলোনিতে পুরসভার ভ্রাম্যমাণ গাড়ি ঘুরে প্রায় ১৪ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। কলোনির পুকুরে ছাড়া হয় প্রায় ২০ হাজার গাপ্পি।
অন্য দিকে, বেলঘরিয়ার ১৭ নম্বর এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের টেক্সম্যাকো এলাকাতেও অজানা জ্বরে আক্রান্ত অনেকে। গত বছরও ওই ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তিন জন। এ বছর এখনও পর্যন্ত সেখানে দু’জনের ডেঙ্গি হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
বিমলবাবুর দাবি, ‘‘এটা ঠিক, অজানা জ্বরে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ডেঙ্গি নির্ধারণ করতে হলে ঠিক মতো রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন। তাই পুরসভার গাড়ি প্রতিদিন সব এলাকায় ঘুরে সেই পরীক্ষা করবে। এর ফলে পুরসভার কাছেও ঠিক তথ্য পৌঁছবে।’’