অভিযোগ জানাতে থানায় বাসুদেবের পরিবারের লোকেরা। (বাঁ দিকে)। মৃত যুবক বাসুদেব হালদার (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
টোটোর ব্যাটারি চুরির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। নিউটাউনের ওই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, চার দিন আগে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর শ্রীকৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির টোটোর ব্যাটারি চুরি যায়। অভিযোগ, ওই পাড়ারই কিছু বাসিন্দা বুধবার পাশের পাড়া নতুনপল্লিতে গিয়ে চড়াও হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আট-দশ জন যুবক গিয়ে নতুনপল্লির বাসিন্দা বাসুদেব হালদারের বাড়িতে যায়। বাসুদেবের ভাই সুজিতের দাবি, ‘‘ওই যুবকেরা এসে দাদার খোঁজ করেন। ওঁদের দেখেই আমার সন্দেহ হয়। ওঁরা বাড়ির ভিতর ঢুকতে গেলে আমি বাধা দিই।” প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এর পরেই ওই যুবকেরা জোর করে বাসুদেবের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে সুজিত এবং তাঁর মা কে ধাক্কা মেরে ভিতরে ঢুকে যায়। সুজিত বলেন, ‘‘ওঁরা দাদাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান।”
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ওই যুবকেরা বাসুদেবকে বাড়ি থেকে বার করে বেধড়ক মারধর করা শুরু করেন। সুজিত এবং বাসুদেবের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কয়েক জন প্রতিবেশীর সাহায্যে তাঁরা বাসুদেবকে উদ্ধার করেন ওই যুবকদের হাত থেকে। এর পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বাসুদেবকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানেই বুধবার বিকালে মৃত্যু হয় বাসুদেবের।
আরও পড়ুন: পিটিএসে আরও আট, মোট আক্রান্ত ১৬০
অন্য দিকে পুলিশের দাবি, বুধবার রাতে তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেন। জানা যায়, আশিস দাস নামে এক যুবকের নেতৃত্বে কয়েক জন বাসুদেবকে মারধর করে। পুলিশকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসুদেবকে বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারা হয়। তাঁকে বাঁচাতে গেলে বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে অন্য এক যুবকও আহত হন। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, টোটোর ব্যাটারি চুরি করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই যুবকদের সন্দেহ, বাসুদেব চুরি করেছেন। সেই সূত্র ধরেই মারধরের ঘটনা। পুলিশ রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।