প্রতীকী ছবি।
তেলঙ্গানা বা উন্নাওয়ের ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা দেশ, সে সময় খাস কলকাতাতেই উঠল শিশু ধর্ষণের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারাতলা রোডে একটি বিয়েবাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম শেখ দানিশ। ১৯ বছরের দানিশ পশ্চিম বন্দর থানা এলাকার আলগরা বস্তির বাসিন্দা। অভিযোগ, গার্ডেনরিচ থানা এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুকে বিয়েবাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার দেওয়ার অছিলায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে দানিশ।
ফুটপাতবাসী বছর ছয়েকের ওই শিশুর ঠিক মতো খাবারও জুটত না প্রতি দিন। তাই আশপাশে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান হলে সেখানেই পৌঁছে যেত সে। যদি উচ্ছিষ্ট খাবার মেলে, সে আশায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারাতলা রোডের এক বিয়েবাড়িতে সে গিয়েছিল খাবারের খোঁজে। তবে সেখানে খাবারের বদলে ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাকে। অভিযোগ, ওই বিয়েবাড়ির লাগোয়া একটি দোতলা বাথরুমে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে দানিশ। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: গণধর্ষণে ধৃত কি সাবালক, পিছোল শুনানি
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন ওই শিশুটি কয়েক জনের সঙ্গে তারাতলা রোডের ওই বিয়েবাড়িতে উচ্ছিষ্ট খাবার আনতে যায়। এর আগেও বেশ কয়েক বার ওই বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্ছিষ্ট খাবার নিতে গিয়েছিল সে। পুলিশের দাবি, বিষয়টি নজরে রেখেছিল দানিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই শিশুকে খাবার দেওয়ার নাম করে ভিতরে ডেকে নিয়ে যায় দানিশ। কিন্তু, ভিতরে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে বিয়েবাড়ি লাগোয়া একটি বাথরুমের নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। ওই অবস্থাতেই পরিবারের কাছে ফিরে আসে সে। এর পর গোটা ঘটনার কথা মাকে জানায়। মেয়ের কাছে ওই নির্যাতনের কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে গার্ডেনরিচ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে শিশুটির পরিবার।
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতেই ঝাঁঝরা তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের চার অভিযুক্ত
পুলিশ সূত্রে খবর, যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকায়, তাই গার্ডেনরিচ থানা থেকে মামলাটি চলে যায় পশ্চিম বন্দর থানায়। ঘটনার তদন্ত নেমে শুক্রবার দানিশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা) ছাড়াও ৪ পকসো (প্রোটেকশন ফ্রম চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।