প্রতীকী ছবি।
মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষাই করানো হয়নি। তাই পিছিয়ে গেল পঞ্চসায়র গণধর্ষণ-কাণ্ডে ধৃত নাবালককে সাবালক হিসেবে বিবেচনা করে বিচার করার জন্য কলকাতা পুলিশের আবেদন সংক্রান্ত শুনানি। বৃহস্পতিবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড আগামী ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা পুলিশকে ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
লালবাজারের খবর, এর জন্য নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়ে বোর্ড গঠনের কথাবার্তা চলছে। ওই বোর্ড নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টই জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে জমা দেবে লালবাজার।
গত ১১ নভেম্বর রাতে পঞ্চসায়রের একটি হোম থেকে বেরিয়ে গণধর্ষিতা হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মৃগী রোগিণী, মানসিক সমস্যায় ভোগা এক মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে উত্তম রাম নামে এক ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে বয়ানের অসঙ্গতিতে উঠে আসে নাবালকের প্রসঙ্গ। গণধর্ষণে সমান ভূমিকা থাকার প্রমাণ মেলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ঘটনার রাতে গাড়ির জানলার কাচ তুলে দিয়ে পিছনের আসনে ছিল সে। জেরায় ওই নাবালক দোষ স্বীকার করে বলেও পুলিশের দাবি। এর পরেই তাকে সাবালক হিসেবে বিবেচনা করে বিচার করার জন্য জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে আবেদন করে লালবাজার। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিনের মধ্যে (৫ ডিসেম্বর) ওই নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিচার করে রিপোর্ট দিতে বলেছিল বোর্ড।
কিন্তু দ্রুত তদন্ত শেষ করে আনার জন্য প্রশংসা কুড়োনো কলকাতা পুলিশ মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা ছাড়াই এ দিন রিপোর্ট দিল কেন? কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। লালবাজারের এক কর্তা শুধু বলেন, ‘‘পরীক্ষা করানোর দিন পেতে সমস্যা হচ্ছিল। এটা গুরুতর কোনও ব্যাপার নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy