ফাইল চিত্র।
পুজোর কেনাকাটার ভিড়ের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। তবুও মানুষের অতি উৎসাহে লাগাম টানা যাচ্ছে না। সপ্তাহ দুয়েক আগেও পুজোর কেনাকাটায় ভিড় কম দেখে স্বস্তি পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সেই পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এখন মূল দুশ্চিন্তাই হল দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে বাজারে উপচে পড়া ভিড় নিয়ে। চলতি মাসের প্রথম থেকে বদলে যাওয়া এই চিত্র দেখে এ বার করোনার বিরুদ্ধে সচেতন করতে প্রচার শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের যে সব বাজারে প্রচুর ক্রেতার জমায়েত হচ্ছে, সেখানে প্রচার চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগানের মতো ভিড়ে ঠাসা এলাকায় মাইক নিয়ে ওই প্রচার চলছে। সেই সঙ্গে পুলিশের নজর থাকছে মাস্কেও। কেউ মাস্ক না পরলে তাঁকে হয় সতর্ক করে দিচ্ছে পুলিশ, অথবা তাঁকে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও মাস্ক না পরার অভ্যাস দেখা যাচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মধ্যেই। ফুটপাতের দোকান থেকে বড় দোকান, স্বাস্থ্য-বিধি ভাঙার এই ছবি সর্বত্র।
পুজোর দিনগুলিতে জনজোয়ার কী আকার নেবে, তার আগাম আভাস মিলছে ভিড়ের এই নমুনা দেখেই। যা নিয়ে চিন্তিত পুলিশের একটি অংশ। কারণ, পথে নেমে এই ভিড় সামলাতে গিয়ে কর্মীদের বড় অংশের নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছে সদর দফতর।লালবাজার সূত্রের খবর, উৎসবের আনন্দে সংক্রমণের ভয়াবহতাকে ভুলে যাওয়া নাগরিকদের সচেতন করার কাজটা তাই ফের শুরু করা হল। মধ্য কলকাতার একটি থানার অফিসারেরা জানাচ্ছেন, তাঁরা প্রতিদিন করোনা বিধি ভাঙার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তবে তাতেও যে ফল হচ্ছে না, সে কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা। পুলিশের একটি অংশের মতে, ক্যানিং স্ট্রিট কিংবা চাঁদনি চকের বাজার এলাকায় করোনা-বিধি পালন করানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল সেই জুলাই থেকে।
আরও পড়ুন: পুরসভায় ফের হানা করোনার, আক্রান্ত চার
আরও পড়ুন: বিসর্জনের প্রস্তুতিতে নজর থাকছে ভিড়ে
অথচ এখনও মাস্ক পরা নিয়ে ওই সব এলাকায় পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা চলছে। তবে পুলিশের এই প্রচার নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ব্যবসায়ীদের একটি অংশের। তা হল, নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, শ্যামবাজারে ভিড়ের বাইরে থেকেই মাইকে ঘোষণা করে পুলিশ দায় সারছে বলে অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে লালবাজারের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রতিদিন বাহিনীর অন্তত ২০ জন সদস্য করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। তাই তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব সাবধানতা মেনেই ডিউটি করতে। না হলে তো গোটা বাহিনী একসঙ্গে সংক্রমিত হয়ে যাবে!
আরও পড়ুন: ড্রোনের ছবিতে ধরা পড়ল আবর্জনার বেহাল চিত্র