আয় বাড়াতে এ বার পণ্য পরিবহণের পরিকল্পনা করছে মেট্রো।
সড়কপথে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে এ শহরে ট্রাফিক আইনের অনেক বেড়াজাল। পুলিশের নির্ধারিত সময় ছাড়া লরি ঢোকা নিষেধ। সেই বিধি-নিষেধটাই কাজে লাগাতে চায় মেট্রো। কর্তাদের মতে, মেট্রোর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য পরিবহণ করলে এই সব অসুবিধা পোহাতে হবে না।
পুরো বিষয়টি এখন পরিকল্পনা স্তরে। শীঘ্রই এটি নিয়ে সমীক্ষা শুরু করা হবে। মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছি। রেল বোর্ডের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। পণ্য পরিবহণের বাজার সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’
মেট্রোর এই পরিকল্পনা নিয়ে যাত্রীদের পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রেলকর্তাদের একাংশ। যাত্রীদের একটি বড় অংশের বক্তব্য, যেখানে যাত্রী-ট্রেনই ঠিক মতো চালানো যাচ্ছে না, সেখানে পণ্য পরিবহণ যোগ হলে জট বাড়বে। রেলকর্তারা বলছেন, সামান্য দূরত্বে পণ্য পরিবহণ করতে যা খরচ হবে, সেটা আয় করতে গিয়ে সমস্যা বাড়বে। পণ্য পরিবহণ করতে গেলে যাত্রী-পরিষেবা ব্যাহত হবে। তখন যাত্রীরাই এর বিরোধিতা করবেন। রেলকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, মেট্রো যা-ই বলুক, কলকাতা মেট্রোর বেশির ভাগটাই সুড়ঙ্গপথ। ফলে পণ্য পরিবহণ চালু হলে যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
মেট্রোর বক্তব্য, যাত্রী পরিষেবার ক্ষতি করে পণ্য পরিবহণ করা হবে না। মালবাহী ট্রেন চলবে ব্যস্ত সময়ের আগে বা পরে। দেশের সব ক’টি মেট্রোই এখন শুধু যাত্রী পরিষেবা দেয়। কিন্তু কলকাতা মেট্রো হঠাৎ পণ্য পরিবহণের পরিকল্পনা করছে কেন? কর্তারা জানান, শুরু থেকেই কলকাতা মেট্রো ভর্তুকিতে চলছে। ওই ভর্তুকি এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে আয়ের প্রায় তিন গুণ। ফলে অন্য ভাবে আয় বাড়াতে হবে। তাই এই পরিকল্পনা। এ বিষয়ে জাতীয় ও রাজ্যের দুই বণিকসভার বক্তব্য, মেট্রোর বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা জেনে তবেই এর ভাল-মন্দ বিচার করা যাবে।