— ফাইল চিত্র।
টালা সেতু বন্ধ হওয়ার পরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই অতিরিক্ত ভিড় আছড়ে পড়ল মেট্রোয়। বেলগাছিয়া, দমদম ও নোয়াপাড়া স্টেশন সোমবার হাঁসফাঁস করল যাত্রীদের ভিড়ে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নোয়াপাড়া ও দমদমের মধ্যে আজ, মঙ্গলবার থেকে আরও ১০টি ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আগের ১১১ থেকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে ১২১ করা হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে জোকা, ঠাকুরপুকুর ও বেহালার বাসযাত্রীদের বড় অংশকেই মেট্রোমুখী করা হয়েছিল। বিভিন্ন বাস রুটকে ঘুরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অল্প দূরত্বে শাটল বাস চালিয়ে যাত্রীদের টালিগঞ্জ স্টেশনে আনার ব্যবস্থা করা হয়। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই উত্তর শহরতলির যাত্রীদের মেট্রোমুখী করে এ বারও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে পরিবহণ দফতর। সেই মতো শুক্রবার পরিবহণ দফতরের তরফে নোয়াপাড়া থেকে দমদমের মধ্যে ট্রেন বাড়াতে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। এ দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মেট্রোর আধিকারিকেরা ওই তিন স্টেশনে যান। তার পরেই ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ শুধু দমদম স্টেশনেই ৩৯ হাজার যাত্রীর আনাগোনা চোখে পড়েছে! অন্যান্য দিন ওই সংখ্যাটি ২৩ হাজারের কাছাকাছি থাকে। বেলগাছিয়া স্টেশনে বিকেল তিনটে নাগাদ প্রায় সাড়ে দশ হাজার যাত্রীর আনাগোনা চোখে পড়েছে। অন্যান্য দিন ওই সংখ্যা সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি থাকে। পুজোর বাজার করতে আসা কলকাতামুখী যাত্রীদের অনেককেই এ দিন দমদমে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। মেট্রোর তরফে পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন দমদমে কাউন্টারের সংখ্যা ১১ থেকে বাড়িয়ে ১৪ করা হয়। বেলগাছিয়া এবং নোয়াপাড়াতেও বাড়ানো হয় কাউন্টারের সংখ্যা।
এ দিন চক্ররেলে ব্যারাকপুর ও বি বা দী বাগের মধ্যে ছয় জোড়া অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর কথা জানান শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার প্রভাস দানসানা। আগে ওই পথে ১৩ জোড়া ট্রেন চলত। ব্যারাকপুর থেকে বেলা ১১টা ৪৬ মিনিট, দুপুর ২ টো ১২ মিনিট এবং সাড়ে চারটে নাগাদ বি বা দী বাগমুখী তিনটি ট্রেন ছাড়বে। বি বা দী বাগ থেকে ব্যারাকপুরের দিকেও তিনটি ট্রেন বাড়ছে।