প্রতীকী ছবি।
আয় বাড়াতে মরিয়া মেট্রো এ বার হাতিয়ার করছে ‘উপলক্ষের বাজারকে’।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র আবহে শহরের একাধিক মেট্রো স্টেশনের প্রবেশপথে দু’দিন ধরে একটি গয়না তৈরির সংস্থাকে অস্থায়ী স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোর যাত্রী, মূলত তরুণ-তরুণীদের নজরে পড়ার জন্য ওই সব স্টলে শোভা পাচ্ছে কম দামের বিভিন্ন নকল গয়না। টুকটাক কেনাকাটাও চলছে। শুক্রবার এমনটাই দেখা গেল দমদম, শোভাবাজার, সেন্ট্রাল, এসপ্লানেড, রবীন্দ্র সদন, কালীঘাট, মহানায়ক উত্তমকুমার-সহ বেশ কিছু মতো স্টেশনে। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর করুণাময়ী এবং ফুলবাগান স্টেশনেও ওই ধরনের স্টলে উৎসাহী তরুণ-তরুণীদের ভিড় চোখে পড়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে যাত্রী ভাড়া খাতে মেট্রোর আয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে অনুমান কর্তাদের। তাই যাত্রী ভাড়ার বাইরে আয় বাড়াতে এমনই মরিয়া চেষ্টা মেট্রোর। সেই চেষ্টার কারণেই স্টেশন চত্বরের খালি জায়গা বাণিজ্যিক সংস্থাকে সাময়িক ভাবে স্বল্প সময়ের জন্য এ ভাবে ভাড়া দেওয়া, বলছেন মেট্রোর আধিকারিকেরা।
এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মেট্রোয় যেমন যাত্রীদের ঢল নামে, তেমনই বিভিন্ন পণ্য কেনাকাটা করার আগ্রহ বাড়ে। আমরা ওই প্রবণতার কথা মাথায় রেখেই আয় বাড়ানোর কথা ভেবেছি।’’
মেট্রোর দাবি, স্টেশনে প্রবেশ কিংবা বেরোনোর পথে যাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধা সৃষ্টি না করেই স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ‘পেড এরিয়া’ বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্টলের কর্মীদের করোনা-বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখানোর পরেই তাঁদের স্টেশনে ঢোকার অনুমতি মিলছে। তবে রাত ৮টার মধ্যে স্টল বন্ধ করতে হবে।
ভবিষ্যতেও বিশেষ উৎসব-অনুষ্ঠান বা সামাজিক আবহকে এ ভাবেই ব্যবহার করতে চান মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অতীতে মেট্রো স্টেশন চত্বরের খালি জায়গায় অনুমতি ছাড়াই অনেকে দোকান বসাতেন। কিন্তু, তার উপরে মেট্রো কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সেখান থেকে কোনও আয় হত না।
ওই অবস্থার বদল ঘটিয়ে বাজারকে যাত্রীদের কাছাকাছি আনতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। প্রাক্-করোনা পরিস্থিতিতে মেট্রোয় দৈনিক যাত্রী সংখ্যা ছিল সাড়ে ছ`লক্ষের বেশি। এখন তা কমে আড়াই লক্ষের কাছাকাছি ঠেকেছে। তবে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে যাত্রী সংখ্যাও বাড়বে বলে আশাবাদী
মেট্রো কর্তৃপক্ষ।