প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় যে পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়েছে, তা যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত বলেই মনে করছে কলকাতার বিভিন্ন স্কুল থেকে পাশ করা সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় এ বার সার্বিক কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি সিবিএসই বোর্ড। তবে কিছু স্কুল নিজেদের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলে সর্বোচ্চ নম্বর (৯৯.৮ শতাংশ) পেয়েছে বিজ্ঞান শাখার অর্চিষ্মান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে, সারা বছর ধরে পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন হলে আর বিশেষ কোনও পরীক্ষার উপরে নির্ভর করতে হয় না। পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় তার মন খারাপ হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সে ভেঙে পড়েনি। কারণ অর্চিষ্মান জানত, সে সারা বছর ধরে স্কুলে যে পরীক্ষাগুলি দিয়েছে, তাতেও ফল ভালই হয়েছে।
ডিপিএস রুবি পার্ক থেকে হিউম্যানিটিজ় নিয়ে পড়ে ৯৯.২ শতাংশ পেয়ে স্কুলের সেরা হয়েছে মেঘা আবেদিন। সে-ও জানাল, পরীক্ষা বাতিল হলেও স্কুলে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা হওয়ায় প্রস্তুতিতে খামতি ছিল না। লিখিত পরীক্ষা হলেও সে এমনই নম্বর পেত বলে মনে করছে মেঘা। মেধা-তালিকা প্রকাশিত না হওয়াতেও তার কোনও আফশোস নেই।
শ্রীশিক্ষায়তন স্কুলের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ঋতু কুলশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান শাখায় ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সে মনে করে, সারা বছর ধরে স্কুলের সমস্ত পরীক্ষা অফলাইনে হলেই ভাল।
সিবিএসই বোর্ডের সার্বিক ফল ভালই হয়েছে বলে জানালেন অধিকাংশ স্কুলের প্রিন্সিপ্যালেরা। মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি থেকে সর্বোচ্চ ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সাতাক্ষী জালান। সে বাণিজ্য শাখার ছাত্রী। প্রিন্সিপ্যাল অঞ্জনা সাহার মতে, এই পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ভাল ভাবেই হয়েছে। তবে, এ দিন কোনও কোনও স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়া অবশ্য জানিয়েছে, স্কুলের পরীক্ষায় কড়া ভাবে খাতা দেখায় তাদের নম্বর কিছুটা কম উঠেছে।