ছবি : সংগৃহীত।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করে সময়ের আগেই স্নাতক স্তরে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছিল ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজ। বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ডেকে মেধাতালিকা বাতিল করার নির্দেশ দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই তালিকা তাঁরা বাতিল করছেন।
উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছিল, ২৭ অগস্ট পর্যন্ত স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন পড়ুয়ারা। এর পরে কলেজগুলিকে ৩১ অগস্টের মধ্যে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সময়ের আগেই ওই কলেজ মেধাতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। কলেজের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ মেধাতালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে বলে তারাও করেছে। যদিও সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ স্বশাসিত।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ছাত্র সংগঠন ডিএসও এবং ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটির তরফে শিক্ষামন্ত্রী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে মেধাতালিকা বাতিলের দাবি তোলে।
এ দিন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুভব্রত গঙ্গোপাধ্যায়কে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে পাঠান। শুভব্রতবাবুকে উপাচার্য জানিয়ে দেন, মেধাতালিকা প্রকাশ করে ওই কলেজ উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ অমান্য করেছে। ওই মেধাতালিকা বাতিল করতে হবে। শুভব্রতবাবুকে এ-ও লিখে দিতে হয় যে পরবর্তী সময়ে সব নিয়ম তাঁরা মেনে চলবেন। পরে শুভব্রতবাবু বলেন, ‘‘আমরা ওই মেধাতালিকা বাতিল করে ২৭ অগস্টের পরে নতুন তালিকা প্রকাশ করব।’’
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুটার সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সব সময়ে মনে করি, নিয়মবিরুদ্ধ কোনও কিছুই করা উচিত নয়। সব থেকে বড় কথা এমন কিছু করা উচিত নয় যার জেরে ছাত্র-স্বার্থ বিঘ্নিত হয়।’’