যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ-সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিতে বুধবার অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সদস্যেরা। অন্য দিকে, অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এ দিনই রাজ্যপাল এবং আচার্যকে চিঠি দিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
জুটার এ দিনের অবস্থানে দাবি ওঠে, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের সংঘাত বন্ধ করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে শিক্ষক-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত অংশের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরকাড়া সাফল্য সত্ত্বেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি মতো যে টাকা দীর্ঘকাল ধরে বকেয়া রেখেছে, তা অবিলম্বে দিতে হবে। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, সরকারি স্তরে সিদ্ধান্তহীনতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে প্রশাসনিক ও আর্থিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তার সুরাহায় আচার্য এবং রাজ্য সরকার অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পঠনপাঠনের পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হবে। ফলে জুটা ভবিষ্যতে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বাধ্য হবে।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাস এ দিন জানান, উপাচার্যহীন অবস্থায় থমকে গিয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষার ফল প্রকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির তরফে এ দিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। দেবব্রত জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা না হলে তাঁরা আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী-সহ ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখনও অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। আগের ১১ জন অস্থায়ী উপাচার্যকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল নিয়োগ করার বিষয়ে মামলা হয়ে রয়েছে। সেই মামলার এখনও রায় হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মত, ওই মামলার রায় না হলে পরবর্তী ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে রাজভবন এগোচ্ছে না।