কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
রাজারহাট-গোপালপুরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছিল। মেয়র পদে শপথ নিয়েই কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি নিজে বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন। শনিবার তেমনই একটি অনুষ্ঠানে কেষ্টপুরের বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভাব-অভিযোগ শুনলেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এ দিন সকাল থেকে তিনি ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি অনুষ্ঠানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা, স্থানীয় দুই কাউন্সিলর বিকাশ মণ্ডল এবং শীলা মণ্ডল। হাজির ছিলেন বিধাননগর পুরসভার আধিকারিকেরা।
বাসিন্দারা পুর পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ তোলেন। তার মধ্যে রাস্তা মেরামতির বিষয়ে সরব হন অধিকাংশ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা শুধু ভেঙেচুরেই যায়নি, রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তবে রাস্তা ছাড়াও নিকাশি, যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকা কিংবা ট্রেড লাইসেন্স পাওয়ার সমস্যা নিয়েও সরব হন বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগের মাঝে মন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবুকে বলতে শোনা যায়, পুর পরিষেবা নিয়ে অভাব অভিযোগ না মেটালে পুজোর পরে তিনি নিজেই মেয়রের কাছে ডেপুটেশন দেবেন। যদিও পরে ফোনে মন্ত্রী জানান, রসিকতার ছলেই তিনি ডেপুটেশনের কথা বলেছিলেন। তবে তাঁর অভিযোগ, বাম আমল থেকেই রাজারহাট-গোপালপুর পুর পরিষেবার ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছে। পূর্ণেন্দুবাবু অবশ্য জানান, যে সব কাজের কথা পুরসভাকে জানানো হয়েছিল, সেগুলির বেশির ভাগই শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সমস্যা না হলে সব কাজ সময়ে শেষ হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে এলাকার উন্নয়নে কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, এ দিন তা-ও বাসিন্দাদের জানান মন্ত্রী পূর্ণেন্দু এবং সাংসদ দোলা।
মেয়র অবশ্য জানান, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে। রাজারহাট-গোপালপুরে উন্নয়নে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা মেরামতি, ভূগর্ভস্থ নিকাশি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন মেয়র।