বেআইনি নির্মাণ নিয়ে হুঁশিয়ারি ফিরহাদ হাকিমের। —ফাইল চিত্র।
গার্ডেনরিচ তার পর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট। কয়েক দিনের ব্যবধানে কলকাতার বুকে দু’টি দুর্ঘটনা হয়েছে। গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত শুক্রবার ৮০/১ নম্বর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে আহত হন দু’জন। গার্ডেনরিচ ও দমদমের ঘটনার পরে যেখানে পুর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে কেন আগেই বিপজ্জনক বাড়ি নিয়ে তৎপর হল না পুরসভা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে সোমবার মুখ খুললেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘জ়িরো টলারেন্স’। কমিশনার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। ডিজি লেভেলে বসে মিটিং হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঘটনাস্থলে মাটি পরীক্ষা করা হবে। ‘বিল্ডিং মেটেরিয়ালস’ কী ছিল তা দেখা হবে। প্রযুক্তি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা দেখা হবে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারদের কর্তব্যে কোনও গাফিলতি ছিল কি না তা দেখে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে সাসপেন্ড করবেন এবং কাকে করবেন না।’’
প্রোমোটার প্রসঙ্গ নিয়ে মেয়র কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘এনাফ ইজ় এনাফ। যাঁরা অবৈধ ভাবে নির্মাণ দাঁড় করিয়ে শহরকে নষ্ট করছেন, তাঁরা পুরসভার আইনকে চ্যালেঞ্জ করছেন।’’ পর ক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি, সবাই আমরা একটা পরিবারের মতো। যা হয়ে গিয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। এ বার মাথা উঁচু করে কাজ করতে হবে।’’
এলাকায় কতগুলি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে, দ্রুত রিপোর্ট আকারে তা জানাতে হবে পুরপ্রতিনিধিকে। কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে দু’জনের আটকে থাকার ঘটনার পর স্থানীয় পুরপ্রতিনিধিকে এমনই নির্দেশ দেন মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী হাকিম। পুরসভা সূত্রের খবর, এর পরেই ওই ওয়ার্ডে ১০৮টি বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত হয়েছে। দ্রুত সেগুলি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। সোমবার মেয়র শহরের বুকে অবৈধ নির্মাণ-সমস্যা নিয়ে বলেন, ‘‘অবৈধ নির্মাণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আগেই বলেছিলাম ‘টক টু মেয়র’-এ। আগের দুই কমিশনার কেন করেননি, এটা জানতাম না। এটা দুর্ভাগ্য যে হয়নি। তবে ‘বেটার লেট দেন নেভার।’’’ রাজ্যের পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, এর পর লগ বুক থেকে কাজ করলে ওয়েবসাইটে তা দেখা যাবে। সমস্ত তথ্য আপলোড করতে হবে এই লগ ইনের মাধ্যমে। অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সেই কাজ করতে পারবেন ইঞ্জিনিয়াররা।