FirhadHakim

সম্পত্তিকর আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি করলেও সন্তুষ্ট নন মেয়র

কলকাতা পুরসভার আয়ের মোটা টাকা আসে সম্পত্তিকর বিভাগ থেকে। করোনার পর থেকে সম্পত্তিকর আদায়ে ভাল সাড়া মেলেনি। তবে চলতি বছরে যে হারে আদায় বেড়েছে, তা দেখে খুশি কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:১৫
Share:

মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

সম্পত্তিকর আদায়ে রেকর্ড সৃষ্টি করল কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, সম্পত্তিকর আদায় গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সম্পত্তিকর আদায় হয়েছিল প্রায় ৮০০ কোটি। চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবর পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪০ কোটি টাকা। তবুও এই আদায়ে সন্তুষ্ট নন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

আগামী বছরের মার্চে চলতি অর্থবর্ষ শেষ হবে। তাই কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন, কেবল ৩০ শতাংশ বৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। সম্পত্তিকর আদায়ের বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০০ শতাংশ করতে হবে।

কর বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ে মাস কয়েক আগে কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বিজ্ঞাপনের জনপ্রিয় এক লাইন উল্লেখ করে মেয়র জানিয়েছিলেন, কর আদায় সন্তোষজনক হলেও তাঁর মন আদায়ের পরিমাণ আরও বাড়াতে চায়। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, মোটা টাকার করখেলাপিদের তালিকাটা বেশ লম্বা। এ ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। কর রাজস্ব বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মেয়রই। কলকাতা পুরসভার আর্থিক অবস্থা এমনিতেই শোচনীয়। তাই মেয়র মনেপ্রাণে চাইছেন, সম্পত্তিকরের বকেয়া টাকার মোটা অংশ করখেলাপিদের থেকে আদায় করা হোক। পুজোর আগেই কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার আয়ের মোটা টাকা আসে সম্পত্তিকর বিভাগ থেকে। করোনার পর থেকে সম্পত্তিকর আদায়ে ভাল সাড়া মেলেনি। তবে চলতি বছরে যে হারে আদায় বেড়েছে, তা দেখে খুশি কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকেরা। পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘চলতি আর্থিক বছর শেষ হতে এখনও চার মাসের কিছু বেশি বাকি। প্রতি বছর শেষ কয়েক মাসে কর রাজস্ব আদায়ে বেশি জোর দেওয়া হয়। এ বারও পুজোর ছুটির পরে সব বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক ডেকে সেই বার্তা দেওয়া হবে।’’

পুরসভার অর্থ দফতর সূত্রের খবর, করোনার পর পরই পুরসভার আর্থিক অবস্থা যে জায়গায় ছিল, তার থেকে এখন কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো গিয়েছে। সম্পত্তিকর বিভাগ ছাড়াও অন্যান্য দফতরেও কর আদায় আশাব্যঞ্জক হচ্ছে। প্রায় ২০ হাজার কর্মীর বেতনের অধিকাংশটাই পুরসভার কর রাজস্ব থেকে দেওয়া হয়। পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্পত্তিকর আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে পুজোর ছুটির পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মোটা টাকার করখেলাপিদের থেকে সম্পত্তিকর আদায়ে আধিকারিকদের কঠোর হতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement