Firhad Hakim

দিল্লিতে থেকেও কলকাতা নিয়ে চিন্তায় মেয়র ফিরহাদ, বৃষ্টির শহরে দুর্যোগে ঠেকাতে বৈঠক, নির্দেশ পুরকর্তাদের

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণ কলকাতার একাংশে জল জমার অভিযোগ পেয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গত ২-৩ অক্টোবর তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিত দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪২
Share:

ফিরহাদ হাকিম। ছবি: ফেসবুক।

আগামী দু’দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতায়। তাই দিল্লিতে থেকেও কলকাতা শহর নিয়ে চিন্তায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুরসভাকে যাবতীয় প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার সকালেই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন মেয়র। গত ২-৩ অক্টোবর তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখান থেকেই কলকাতায় ধারাবাহিক বর্ষণের কথা জেনেছেন। দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় জল জমার খবর পেয়েছেন মেয়র। সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তবে মেয়র সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন আগামী দু’দিনের ভারী বর্ষণের কারণে। সেই বিষয়ে পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে দিল্লি থেকে দফায় দফায় কথা বলেছেন মেয়র। কলকাতায় পৌঁছেই যে তিনি পুরসভায় এসে সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

দিল্লি থেকে এক ভিডিয়ো বার্তায় ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগামী দু’দিন আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগ উত্তরবঙ্গ থেকে গাঙ্গেয় বাংলার দিকে আসবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সতর্ক আছি। কলকাতায় পৌঁছেই এক বার কন্ট্রোল রুমে যাব। কী কী ব্যবস্থা হয়েছে, তা দেখে নেব।’’

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণ কলকাতায় একাংশে জল জমার অভিযোগ পেয়েছেন মেয়র। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘১২৭ ও ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জল জমে রয়েছে। বাদ বাকি জায়গায় পাম্প দিয়ে আমরা জল বের করেছি। পাম্পিং স্টেশনগুলি ফুল ক্যাপাসিটিতে চালানো হয়েছে। যেমন, খিদিরপুরে এখন আর কোনও জল নেই। জল জমেওনি। দু’টি নতুন পাম্পিং স্টেশন হওয়ায় এমনটা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা ছিল, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকায় জল জমবে। কিন্তু সেখানেও জল জমেনি।’’ এমনিতেই কলকাতার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে চাপে কলকাতা পুরসভা। তার উপর এমন দুর্যোগের আভাস পেয়ে সেই চাপ আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে পুর প্রশাসনের একাংশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement