অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যান মিলিয়ে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৪। —ফাইল চিত্র।
শুরু হল উচ্চ প্রাথমিকের দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং। দ্বিতীয় দফায় উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকায় থাকা মোট ২৫৯৫ জন অপেক্ষমাণ চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার ৪৪৬ জন প্রার্থীকে ডেকেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যান মিলিয়ে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৪। প্রত্যাখ্যান করেছেন দুই থেকে তিন জন। বাকি সবাই অনুপস্থিত। অর্থাৎ, প্রথম দিনেই প্রায় ২৮ শতাংশ প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন ২৪ শতাংশের মতো। এখন দেখা যাচ্ছে, অপেক্ষমাণদের মধ্যেও অনুপস্থিতির হার বেশি। যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অনেকেই জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দশ বছর অপেক্ষা করে অন্য কোনও চাকরিতে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন।
যেমন, উচ্চ প্রাথমিকের এক চাকরিপ্রার্থী রূপসী ঘোষ বলেন, ‘‘আমি এখন বাড়ির কাছে একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করছি। উচ্চ প্রাথমিকে আমি যে স্কুল পাচ্ছি, তা বাড়ি থেকে অনেক দূরে। পরিবার ছেড়ে দূরের স্কুলে গিয়ে শিক্ষকতা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’ এ দিন ইংরেজির ২১৮ জন এবং ভূগোলের ২২৮ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং হয়েছে। আগামী চার দিন, অর্থাৎ ১৮, ১৯, ২০ এবং ২৩ ডিসেম্বর এই কাউন্সেলিং-পর্ব চলবে।
ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ৮৭৪৯ জনের কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থীরা স্কুলে যোগও দিচ্ছেন। ‘পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ’-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘এত সংখ্যক প্রার্থী অনুপস্থিত থাকছেন ও প্রত্যাখ্যান করছেন। তাই অবিলম্বে মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের তৃতীয় দফার কাউন্সেলিং করার আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে মেধা তালিকায় থাকা ১৪০৫২ জন প্রার্থীরই কাউন্সেলিং করে তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে।’’