TMC Rally on 21st July

ব্যাগ শিবিরে রেখেই ছুট চিড়িয়াখানা, দক্ষিণেশ্বরে

সল্টলেকের করুণাময়ীর বইমেলার মাঠে প্রতি বারের মতো এ বারেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আসা লোকেদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪৯
Share:

জমায়েত: জেলা থেকে সমাবেশে আসা তৃণমূল সমর্থকদের ঠাঁই হয়েছে সল্টলেকের করুণাময়ী মেলা প্রাঙ্গণে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

রাত ফুরোলেই গন্তব্য ধর্মতলা। তবে, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে দূরদূরান্ত থেকে যোগ দিতে আসা অনেকেই প্রতি বারের মতো এ বারেও ভিড়ে আটকে মূল মঞ্চে পৌঁছতে পারবেন না। বরং বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরার তাড়া থাকবে। তাই দূরের জেলাগুলি থেকে আগের দিন, বৃহস্পতিবার চলে আসা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা বেরিয়ে পড়লেন কলকাতা ঘুরতে। কেউ গেলেন চিড়িয়াখানায়, কেউ ছুটলেন কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বরে।

Advertisement

সল্টলেকের করুণাময়ীর বইমেলার মাঠে প্রতি বারের মতো এ বারেও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আসা লোকেদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ, শুক্রবার সেখান থেকে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের জমায়েত ধর্মতলার দিকে রওনা দেবে। দক্ষিণেশ্বর ঘুরে করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে বইমেলার মাঠের দিকে ফিরছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা তুকেন সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘চাষ করি। কলকাতায় আসা হয় না। শুক্রবার দলের মিটিংয়ে যাব। আজ চিড়িয়াখানা আর দক্ষিণেশ্বর ঘুরে এলাম।’’

সমাবেশে যোগ দিতে বুধবার থেকেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন লোকজন। এ দিন সকাল থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশনে এসে পৌঁছন। সেখান থেকে নির্ধারিত উত্তর হাওড়ার শ্যাম গার্ডেন ও শ্রীরাম বাটিকায় তাঁদের শিবিরে পৌঁছে যান। সন্ধ্যার পরে সল্টলেকে, দক্ষিণ কলকাতার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। নেতৃত্বের দাবি, আজ, শুক্রবার সকালে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ সেখান থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

Advertisement

গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২৫ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের কর্মী-সমর্থকেরা আছেন। বুধবার রাতেই প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী-সমর্থক সেখানে পৌঁছন বলে দাবি তৃণমূলের। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের আরশাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের বুথে গোলমালে কয়েক জন জখম হন। আতঙ্ক উপেক্ষা করেই দলের বার্তা শুনতে এসেছি।’’ সেখানেও যাঁরা বুধবার রাতেই চলে এসেছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই বৃহস্পতিবার কলকাতা দেখতে বেরিয়ে পড়েন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement