স্কুলে ফিরে উচ্ছ্বসিত এক পড়ুয়া। বারাসত গার্লস হাইস্কুলে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
স্কুল খোলার প্রথম দিনে সেখানে পৌঁছতে স্কুলগাড়ি আর স্কুলবাস এড়িয়ে গেল পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ। যার ফলে মঙ্গলবার হাতে গোনা কিছু পড়ুয়াকে নিয়েই ছুটতে দেখা গেল বেশির ভাগ স্কুলবাস এবং স্কুলগাড়িকে।
শহরের নামী স্কুলগুলি এ দিন থেকে ধাপে ধাপে নিজেদের স্কুলবাস পথে নামিয়েছে। এ দিন থেকেই কসবা, নিউ টাউন, এ জে সি বসু রোড, জোকা ও বেহালার একাধিক স্কুলের পড়ুয়াদের বাসে করে স্কুলে আসতে দেখা গিয়েছে। আগেও ওই সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্য কর্মীদের নিয়ে যাতায়াত করছিল বাসগুলি। ফলে নামী স্কুলগুলির বাস পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিকই রয়েছে। আগামী দিনে সব শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে শুরু করলে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সেই তুলনায় স্কুলগাড়ির অবস্থা করুণ। এ দিন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেশির ভাগই অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলে এসেছে। তবে আমরা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।’’ স্কুলগাড়ি মালিকদের সংগঠনের দাবি, মূলত নিচু ক্লাসের পড়ুয়ারাই তাতে যাতায়াত করে। তাই এ দিন তিন-চারটি গাড়ির পড়ুয়াদের একসঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করা হয়েছে। ‘পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দত্ত বলেন, ‘‘নিচু ক্লাস না খুললে খরচে কুলিয়ে ওঠা মুশকিল।’’