প্রতীকী ছবি।
ছাত্রজীবনে হয়তো অনেকেরই এই প্রথম শিক্ষক দিবসে দেখা হবে না শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেই।। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না উপহার। কারণ, করোনার কারণে এ বার ওই দিনটি পালন হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। তাই মন খারাপ পড়ুয়াদের। কিন্তু নব্য স্বাভাবিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কেউ বাড়িতে বসেই তৈরি করেছে কার্ড, কেউ লিখেছে কবিতা, কেউ নাটক।
যেমন যাদবপুর বিদ্যাপীঠের কয়েক জন পড়ুয়া জানাল, গত ছ’মাস স্যরেদের সঙ্গে দেখা হয়নি। তাঁদের স্নেহ-ভালবাসা-ধমক ‘মিস’ করছে তারা। নেই বন্ধুদের হুটোপাটিও। সেই ভাবনাকেই তারা ফুটিয়ে তুলেছে নাটকে। স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী অস্মিতা বাগচী বলল, ‘‘আমরা কয়েক জন বন্ধু স্যর-দিদিমণিদের জন্য নাটক লিখেছি। প্রত্যেকে বাড়িতে বসে অভিনয় করেছি। তার পরে সেই ভিডিয়ো পাঠিয়েছি এক বন্ধুকে। এ বারের শিক্ষক দিবসে এটাই আমাদের নিবেদন।’’
শ্রীশিক্ষায়তনের মহাসচিব ব্রততী ভট্টাচার্য জানান, তাঁর স্কুলের পড়ুয়ারা অনলাইনে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘‘করোনা অনেক কিছু নতুন ভাবে শেখাল। স্কুলে সামনাসামনি তো বহু অনুষ্ঠান করেছে ছাত্রছাত্রীরা। অনলাইনে ওরা কী করবে, দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছি।’’ তাদের প্রিয় স্যরেদের জন্য ‘টিচার্স ডে’-র কার্ড বানিয়েছে সাউথ পয়েন্টের খুদেরা। কেউ তৈরি করেছে কাগজের গাছ। এক অভিভাবক জানান, তাঁর ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। শিক্ষকের জন্য পেন কিনেছে সে। অনলাইনে সেটি শিক্ষককে দেখাবে। স্কুল খুললে পেন নিয়ে যাবে।
এম পি বিড়লা ফাউন্ডেশনের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা কেউ লিখেছে গান, কেউ কবিতা। আজ, শিক্ষক দিবসে স্কুলের ইউটিউব চ্যানেলে সেগুলি শোনাবে তারা। অনেকে আবার মিস করছেন শিক্ষক দিবসের খাওয়াদাওয়াও। বাগুইআটির ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের প্রিন্সিপাল মৌসুমী সাহা বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা জানিয়েছে, এই খাওয়া আমাদের পাওনা থাকল। স্কুল খুললেই ওরা খাওয়াবে। আমরাও ওদের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করব।’’