বিপত্তি: ডিভাইডারে উঠে গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। রবিবার, ইএম বাইপাসে বেঙ্গল কেমিক্যালের কাছে। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারের ডিভাইডারে উঠে গিয়েছে গাড়ির সামনের দু’টি চাকা। পিছনের চাকা দু’টি তখনও রাস্তায়। চালক এবং তাঁর পাশের আসনের দু’টি এয়ার ব্যাগ বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভেঙে দুমড়ে গিয়েছে গাড়ির সামনের অংশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসছেন এক মহিলা। পাশেই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী।
রবিবার বিকেলে ইএম বাইপাসে বেঙ্গল কেমিক্যালের সামনে এই দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে আসে মানিকতলা থানার পুলিশ। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে দুপুর তিনটে নাগাদ। চিংড়িঘাটার দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে উল্টোডাঙার দিকে আসছিল গাড়িটি। বেঙ্গল কেমিক্যাল মোড়ের কাছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এক পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারে। এর পরে সোজা ডিভাইডারে উঠে যায়। ধাক্কার চোটে পায়ে আঘাত পান ওই পুলিশকর্মী। জখম হন গাড়ির তিন আরোহীও। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। আহত পুলিশকর্মীকে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে গাড়িচালকের তেমন আঘাত লাগেনি। চালক-সহ গাড়িটি আটক করেছে মানিকতলা থানার পুলিশ।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে এসে দেখি, ডিভাইডারের উপরে একটি গাড়ি উঠে গিয়েছে।’’ প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা।
অন্য দিকে, এ দিনই বিকেলে রাজভবনের পূর্ব গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের পিছনে ধাক্কা মারে শখেরবাজার-হাওড়া ময়দান রুটের একটি মিনিবাস। এই দুর্ঘটনায় আহত হন মিনিবাসের চালক-সহ চার যাত্রী। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রানিগঞ্জের বাসিন্দা, সুমি মণ্ডল নামে এক আহত যাত্রী বলেন, ‘‘সপরিবার চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসেছিলাম। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।’’ দু’টি বাসই আটক করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানা।